ছেলে মার্কিন মুলুকে, টালিগঞ্জে একাকী বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

বাড়িতে থাকতেন শুধু বয়স্ক দম্পতি। বছর পাঁচেক আগে স্বামীকে হারিয়ে আরও একা হয়ে পড়েন বছর সত্তরের বৃদ্ধা। ছেলে কর্মসূত্রে থাকেন আমেরিকা। সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে দূরাভাসে মায়ের নিয়মিত খোঁজ খবর নিতেন বলেই জানা যায়। কিন্তু হঠাৎ কী হলো?

বৃদ্ধা সোনারানি দাসের বাড়ি থেকে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করলো টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহের বীভৎসতা দেখে শিউরে উঠেছেন পুলিশের দুঁদে কর্তারাও। বৃদ্ধার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে প্রবাসী ছেলেকেও।

সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন যাবৎ আশেপাশে একটা পচা দুর্গন্ধ টের পাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। প্রথমে তাঁর5 ভেবেছিলেন, কোনও পশু-পাখি হয়তো মরে গিয়ে পচন ধরেছে। কিন্তু গন্ধ ক্রমশ হতে শুরু করে। এরপর দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের রানি ভবানি রোডের বাসিন্দারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নড়েচড়ে বসেন। দুর্গন্ধ-এর উৎসের সন্ধান করতে গিয়ে প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন সোনারানি দাসের বাড়ি থেকেই তা আসছে। খারাপ কিছু সন্দেহ করে তাঁরা খবর দেন পুলিশে।

টালিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃদ্ধার ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানার ওপর পড়ে রয়েছে পচাগলা একটা বীভৎস লাশ। শরীর থেকে খসে পড়েছে চামড়া-মাংস। লাশে এতটাই পচন ধরেছে যে পুরো কালো হয়ে সেখান থেকে রস পর্যন্ত বের হচ্ছে। দেহ শনাক্ত করে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকেও।

ঠিক কী কারণে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতদেহ দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কমপক্ষে তিন থেকে চারদিন আগে মৃত্যু হয়েছে। একাকী থাকা ওই বৃদ্ধার হার্ট- অ্যাটাকের ফলে মৃত্যু হতে পারে বলেও তাঁরা মনে করছেন। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলেই তা স্পষ্ট হবে।

এদিকে প্রশ্ন উঠছে, আমেরিকা থেকে এই কয়েকদিনে কি বৃদ্ধার ছেলে একবারও মাকে ফোন করে খোঁজ নেননি? পুলিশ বৃদ্ধা সোনারানি দাসের ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে, ওই বৃদ্ধাকে কেউ দেখভাল করতো কিংবা বাড়িতে কেউ কাজ করতো কিনা, তারও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।

Previous articleআছড়ে পড়ল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হারিকেন হান্না, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি
Next articleরাজস্থানে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিতে দলীয় বিধায়কদের হুইপ জারি মায়াবতীর