রাজ্যপালকে ম্যানেজ করতে না পেরেই ব্যক্তিগত আক্রমণ : দিলীপ

রাজ্য আগে ঠিক করে জানাক, কত টাকার ক্ষতিপূরণ হয়েছে। শুরু হয়েছিল ১ লক্ষ ২০কোটি দিয়ে। তারপর ১ লক্ষ কোটি। এখন নেমেছে ৩৫ হাজার কোটিতে। আমার মনে হয় কেন্দ্রও বুঝতে পেরে অপেক্ষা করছে কত টাকা নামে তা দেখার জন্য। কোভিড টেস্টিং কোবাস মেশিনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষিতে মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। মুখ্যমন্ত্রীর তোলা দাবি নিয়ে দিলীপ যা বললেন…

১. আমফানে রাজ্যের পাঠানো হিসাব নিয়ে কেন্দ্র কনফিউজড। হিসাবের কোনও মাথামুণ্ডু নেই। এক জায়গায় দু’পক্ষ বসে সমাধান করা উচিত।

২. রাজ্যপাল যে কথাগুলো বলছেন, সেগুলো আসলে সাধারণ মানুষেরও কথা। সাধারণ মানুষকে মেরে কেস দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। রাজ্যপালকে তা করা যাচ্ছে না। তার অপ্রিয় কথার জবাব দেওয়া যাচ্ছে না। তাই তাঁকে বারবার ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। রাজ্যপাল বিশ্ববিস্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না, আলোচনা করতে পারবেন না!

৩. কেন্দ্র নানা খাতে টাকা দিচ্ছে না অনেকদিন থেকে শুনছি। আমার কথা হলো কোন খাতে কত টাকা বকেয়া সেটা ওরা কিছুতেই বলবে না। এই সরকারের বিভিন্ন খাতের টাকা এসে পড়ে থাকে। এই তো আয়লার ৫ হাজার কোটি টাকা ফেরত গেল ব্যবহার করতে না পারায়।

৪. টেস্টিং তো বাড়ানো উচিত। সেই কারণে আধুনিক মেশিন বসানো হয়েছে। রাজ্যে গ্রামেগঞ্জে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সরকার তথ্য গোপন করতে যাওয়ায় রোগটা ছড়িয়েছে।

৫. আগে বেশি স্যাম্পল কালেক্ট হতো। এখন কমেছে। রোগ ছড়িয়েছে, তাই টেস্টিংও বাড়নো জরুরি। টেস্টের জন্য মানুষকে ঘুরতে হচ্ছে, রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এটা তো মন্ত্রীর দেখার কথা নয়। প্রশাসন ব্যর্থ। সমাজে হতাশা-ভয়ের পরিবেশ এখনই কাটানো দরকার।

Previous articleফের মানবিক সৌরভ, এবার দাঁড়ালেন করোনা আক্রান্ত অসহায় পরিবারের পাশে
Next articleএবার মোহনবাগান দিবসও “ভার্চুয়াল”, একনজরে ২৯ জুলাই যাঁরা যে সম্মানে ভূষিত হবেন