শিলিগুড়ির সাফারি পার্কে জন্ম রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ৩ শাবকের

শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে বুধবার তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার শীলা। দুই খুদে রয়েল বেঙ্গল টাইগার কিকা ও রিকা নতুন খেলার সঙ্গী পেলো। লকডাউন জনিত কারণে মার্চের শেষ থেকে বন্ধ সাফারি পার্ক। মহামারির কারণে শিলিগুড়ির সাফারি পার্ক বন্ধ থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে মানুষের কাছে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে নতুন তিন খুদের ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর। খুশি বনকর্মীরা। শিলিগুড়ি শহর থেকে কিছুটা দূরে সেভকগামী রাস্তায় এই বেঙ্গল সাফারি পার্কটি অবস্থিত। এখানে ২০ হেক্টর জমিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার সাফারি গড়ে তোলা হয়েছে।

রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খুশির খবর। এর ফলে ভবিষ্যতে বেঙ্গল সাফারি পার্কে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর ধর্মদেও রাই বলেন, শীলা এদিন তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। তিনজনই সুস্থ। আমরা দেখেছি, শাবক তিনটি তাদের মায়ের দুধ পান করছে। এখন সবমিলিয়ে আমাদের পার্কে সাতটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হলো। আগামী কয়েকমাস এদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারপর কিকা, রিকার মতো এদেরকেও ভিজিটরদের সামনে হাজির করা হবে। শীলার পুরুষসঙ্গী বিভান। বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার নন্দনকানন থেকে শিলিগুড়ির এই সাফারি পার্কে পুরুষ স্নেহাশিস ও স্ত্রী শীলা নামে দু’টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আনা হয়েছিল। পরে ঝাড়খণ্ডের টাটা স্টিল জুলজিক্যাল পার্ক থেকে নিয়ে আসা হয় পুরুষ বাঘ বিভানকে। পরে স্নেহাশিসকে এই পার্ক থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। শীলা এদিন ভোর পৌঁনে ৫টা থেকে ৭টা ২০ মিনিটের মধ্যে তিনটি সন্তানের জন্ম দেয় বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এরআগে ২০১৮ সালের মে মাসে শীলা তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই শীলার তিন সন্তানের নাম দিয়েছিলেন কিকা, রিকা ও লিকা। তবে জন্মের পাঁচ মাস পরে মারা যায় লিকা। এখন পার্কে রয়েছে তিনটি স্ত্রী রয়েল বেঙ্গল টাইগার শীলা, কিকা ও রিকা। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও তারা নতুন অতিথিদের সামনে যেতে পারেনি। তাই সদ্যোজাতদের এখনও লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। সব মিলিয়ে এখন পার্কে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বেড়ে হল সাতটি।

Previous articleএকুশের লক্ষ্যে শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল, এবার কলকাতায় ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক
Next articleফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তরে, দক্ষিণে বজায় থাকবে আর্দ্রতা