যুবযোদ্ধারাই একদিন বাংলাকে পথ দেখাবেন, নিশ্চিত বিশ্বাস সাংসদ অভিষেকের

যুবশক্তির বৃত্ত আরও চওড়া করতে বাংলার যুব-যোদ্ধাদেরই আরও সক্রিয় হতে হবে৷

যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বিভিন্ন প্রান্তের
যুবযোদ্ধাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় মিলিত হয়ে এই আহ্বান জানিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন সোহম চক্রবর্তী ৷ এই ভার্চুয়াল বৈঠকে এক প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, প্রত্যেক যুবযোদ্ধা এমনিতেই 10 জন পরিবারের সমস্যা সমাধানের সঙ্গে যুক্ত আছেন৷ ওই পরিবারগুলির ভালো- মন্দের পাশে আছেন। কিন্তু তার বাইরেও অজস্র অসহায় পরিবার থেকে গিয়েছেন৷ এখন আমাদের নথিভুক্ত যুব-যোদ্ধারাই পরিচিতজনদের মধ্য থেকে নতুন নতুন যুবযোদ্ধা তৈরি করুন, তাদের বলুন আরও ১০টি পরিবারের দায়িত্ব নিতে৷ এভাবেই একদিন বাংলার যুবযোদ্ধার সংখ্যা ১০-১২ লক্ষে পৌঁছে যাবে৷ একদিন এই যুবযোদ্ধারাই বাংলার পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবেন৷”

সাংসদ অভিষেক বলেন, “এই ১০-১২ লক্ষ যুবযোদ্ধারা প্রত্যেকে যদি ১০ পরিবারের দায়িত্ব নেন, তাহলে ‘বাংলার যুবশক্তি’ বাংলার কত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, সংখ্যাটা মাথায় রাখবেন৷”

এদিন নানা প্রশ্নের উত্তরে
অভিষেক বলেন, যারা যুবশক্তির সঙ্গে আছে, যাদের মাটির সঙ্গে যোগ আছে তাদের নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন৷

তৃণমূলের যুব যোদ্ধাদের প্রতি যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নির্দেশ, মানুষের সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে যদি কোনও দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে সে ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যিনি যত বড়ই নেতা হোন না কেন, একজন যুবযোদ্ধা হিসেবে যদি সঠিক পথে সঠিকভাবে কেউ কাজ করেন তাহলে তিনি ভবিষ্যতে অবশ্যই সবার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখবেন। ‘জিন্দাবাদ মুর্দাবাদ’ বলা নয়, রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো মানব সেবা। আর সেই মানব সেবায় যদি একজন যুবযোদ্ধা নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কিন্তু তার কাজ কথা বলবে, তার হয়ে কাউকে কথা বলতে হবে না। এমনই আত্মবিশ্বাসের কথা যুবযোদ্ধাদের প্রতি জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, কে কোন পার্টি করে বা কার সঙ্গে কার যোগাযোগ, এই বিষয়টি না ভেবে যদি কেউ ১০০ শতাংশ কাজ করেন সেক্ষেত্রে তাকে যুব তৃণমূলে জায়গা করে দেওয়ার দায়িত্ব তার, একথা তৃণমূল যুব সভাপতি এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন। অভিষেক জানান, এখনও পর্যন্ত 6 লক্ষ যুবযোদ্ধা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, যে কারও কারও মনে হচ্ছে যে আরও মানুষকে এর মাধ্যমে সাহায্য করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যে কোনও যুবযোদ্ধা প্রয়োজন মনে করলে আরও 4-5 টি পরিবারকে এর অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তাদেরকেও বলতে হবে আরও দশ জনকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য । এ ভাবেই বাংলার যুবশক্তি মানুষের পাশে থাকবে মানুষের সেবা করবে। আগামী পাঁচ বছর পরে এই যুবশক্তির কর্মকাণ্ড কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে, কিভাবে এ রাজ্যের মানুষকে সাহায্য করবে? এই প্রশ্নের উত্তরে যুব সভাপতি অভিষেক স্পষ্ট ভাষায় জানান, মানুষের জন্য কাজ করলে মানুষ কখনও তাকে ফিরিয়ে দেয় না। তাই নিরলসভাবে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় তার এই উপলব্ধির কথা আজকের ভার্চুয়াল সভায় বলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ৷ তিনি যুবশক্তির কাছে তুলে ধরেন বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা।

এদিনের ভার্চুয়াল সভায় অভিষেক ফের স্মরণ করিয়ে দেন, যারা আজ এই সভায় কথা বলেছেন তাদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। কিন্তু এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, তারা যে পরিবারগুলির দায়িত্ব নেবেন তাদেরকে কিন্তু অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলতে হবে। তারা যাতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন সে বিষয়ে তাদের অবহিত করতে হবে এবং সে জন্য সবার আগে প্রয়োজন নিজেকে এই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যে নিয়মবিধি সেই নিয়ম বিধি মেনে চলা। তাঁর স্পষ্ট কথা, একমাত্র বাংলার যুবশক্তি পারে এই বাংলার চাহিদা, এই বাংলার সমস্যা তুলে ধরে এই বাংলার জন্য সবকিছু আদায় করতে। কারণ, বাংলা আজ যা ভাবে বাকি ভারত বর্ষ আগামী দিনে সেই পথে এগোয়। তিনি যুব যোদ্ধাদের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়ে উল্লেখ করেন ভারতীয় সেনা জওয়ানদের কথা। যারা নিরলস দেশের ভূখণ্ডকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন৷

Previous articleআনন্দলোক হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল, বন্ধ করতে হবে সব শাখা
Next articleবেসরকারি হাতে বিমানবন্দর, সীলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার