সংক্রমণ এড়াতে নিজেই করুন এবারের গণেশ বন্দনা!

রাত পোহালেই গণেশ পুজো । করোনা সংক্রমণের জেরে এবারের গণেশ পুজো সম্পূর্ণ অন্য আবহে হবে। ২২ অগস্ট শনিবার গণেশ চতুর্থী পালন করা হবে। বাড়িতে গণেশ পুজোয় পুরোহিত নিয়ে কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ । হ্যাঁ , টেনশন দূরে সরিয়ে আপনি নিজেই গণেশ বন্দনায় মেতে উঠতে পারেন । সেজন্য প্রয়োজন শুধু কিছু নিয়মকানুন জানা । আর তারই হদিশ দিতে কলম ধরা। পঞ্জিকা অনুসারে শনিবার সন্ধ্যায় ৭ টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত গণেশ পুজোর জন্য শুভ।হস্ত নক্ষত্র সন্ধে ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। দুপুর ১২ টা ২২ মিনিট থেকে বিকেল ৪টে৪ মিনিট পর্যন্ত লাভ এবং অমৃত চৌঘরিয়া রয়েছে।‌ধূপ, আরতির থালা, সুপুরি, পান পাতা, গনেশের জন্য নতুন পোশাক এবং চন্দন কাঠ হলেই পুজো করতে কোনও অসুবিধা হবে না।
ওম গণ গনপতায় নমঃ মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে শুরু করতে হবে গনেশ আরাধনা। আরতির থালায় সুগন্ধি ধূপ জ্বালিয়ে শুরু করুন গনেশ পুজো। এরপর চন্দন কাঠের সামনে পান পাতার ওপর সুপুরি সাজিয়ে রাখুন । যারা গনেশ চতুর্থীর আগেই বাড়িতে মূর্তি নিয়ে আসছেন তারা নির্দিষ্ট দিনের আগে পর্যন্ত নতুন কাপড়ে বিগ্রহের মুখ ঢেকে রাখুন। পুজোর দিন মূর্তি স্থাপনের আগে খুলবেন মুখ। আর হ্যাঁ, গনেশ নিয়ে ঘরে প্রবেশের আগে চাল ছড়াতে ভুলবেন না। মূর্তি স্থাপনের আগেও ছড়িয়ে দিন চাল। ওপরে রাখুন সুপুরি, কাঁচা হলুদ, লাল কুমকুম ও দক্ষিণা।
মূর্তি স্থাপনের পর প্রয়োজন পড়বে লাল ফুল, দূর্বা ঘাস, মোদক, নারকেল, লাল চন্দন, ধুনো ও ধূপ।বাড়িতে গনেশ মূর্তি স্থাপনের আগে সারা বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করুন। পারলে সংক্রমণ এড়াতে পুরো বাড়ি ভালো করে স্যানিটাইজেশন করিয়ে নিন। স্নান সেরে মন্ত্রের মাধ্যমে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর শুরু হবে পুজো। ঋক বেদ বা গণেশ সুক্তায় পাবেন প্রাণ প্রতিষ্ঠার মন্ত্র। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরই ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু করুন আরতি। এরপর ষোড়শপচারে গনেশ আরাধনা করুন। এরপর ২১টি দূর্বা ঘাস, ২১টি মোদক ও লাল ফুল গনেশের সামনে সাজিয়ে রাখুন। মূর্তির মাথায় আঁকুন লাল চন্দনের টিকা। এরপর গনেশ মূর্তির সামনে নারকেল ভেঙে অশুভ শক্তিকে দুর করুন। গনেশের ১০৮ নাম জপ করুন। মূর্তির সামনে করজোরে প্রার্থনা করুন পরিবারের সুখ, সমৃদ্ধি। এইভাবে বাড়িতে পুরোহিতের সাহায্য ছাড়াই করতে পারেন গনেশ বন্দনা।
গণপতির প্রসাদে মোদক রাখার কথা অনেকেই শুনেছেন!
যেগুলো অবশ্যই দরকার-
জানেন কি গণপতিকে তুষ্ট করে নিজের পরিশ্রমের যোগ্য ফল লাভ করতে গেলে, প্রসাদের থালায় অবশ্যই রাখতে হয় চাল? হ্যাঁ! শাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন, জলে ধুয়ে অল্প কিছু চাল গণেশকে অর্পণ করুন, তাতে ফল মিলবে হাতেনাতে!
পুজোর থালায় অবশ্যই রাখুন সিঁদুর। কারণ, সিঁদুর দিয়ে গণেশ পুজো করলে নেতিবাচক শক্তি উবে যায় গৃহস্থে আসে ইতিবাচক শক্তি।
পুজোর থালায় অবশ্যই রাখুন দূর্বা ঘাস। এই ঘাস দিয়ে গণেশ পুজোয় সিদ্ধিলাভের পরিমাণ বেড়ে যায়। শাস্ত্র মতে ২১ টি গাঁটের দূর্বাঘাস এই পুজোয় অর্পণ করতে হয়।
পুজোর সময় শাঁখ বাজাতে ভুলবেন না। তবে পুজোর থালায় গণেশ আরতির সময়ও শাঁখ রাখতে বলছেন শাস্ত্রজ্ঞরা। এতে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় বলে দাবি তাঁদের।
প্রসাদের থালায় গণেশকে তুষ্ট করতে রাখুন কলা। কলা দিয়ে গণেশ পুজো করলে, তার ফল খুব ভালো হয়। এতে জীবনেও শুভ ফল লাভ হয়।
গণেশ পুজোয় অবশ্যই থালায় রাখুন মোদক। হলুদ মোদকে গণেশ তুষ্ট হলেই, জীবনে বৃহস্পতির প্রভাবে সম্পত্তি ও সৌভাগ্য বাড়তে থাকে।

Previous articleমহামারির আবহে নির্বাচনের জন্য একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা জারি নির্বাচন কমিশনের
Next articleঅর্জুন থেকে খেলরত্ন-সহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা