সুশান্ত মৃত্যুরহস্যে এবার মাদক যোগ! রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়

সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যুরহস্য ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এবার এই মৃত্যুর সঙ্গে মাদক ব্যবহার ও মাদক পাচারের তত্ত্ব উঠে আসছে। সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেল টাইমস নাও ইডি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রিয়া চক্রবর্তী সহ পাঁচজনের সঙ্গে মাদক পাচারের যোগাযোগ মিলেছে। এই পাঁচজন হলেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক, স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা ও দীপেশ সাবন্ত। রিয়ার সঙ্গে এক কুখ্যাত ড্রাগ ডিলার গৌরব আরিয়ার কথোপকথন মোবাইল ফোনের মেসেজ থেকে উদ্ধার করেছে ইডি। এই তথ্যগুলি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মাদক যোগ সামনে আসায় নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোকেও এই বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

টাইমস নাও জানিয়েছে, রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এরপর তদন্তকারীরা দেখেন, ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়ার ফোন থেকে বহু মেসেজ ডিলিট করা হয়েছে। মুছে ফেলা মেসেজগুলি পুনরুদ্ধার করে তা বিশ্লেষণ করার পরই হাতে আসে বিস্ফোরক তথ্য। এরপরেই যোগাযোগ করা হয় নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর সঙ্গে। বহু কথোপকথনে দেখা গিয়েছে, এমডিএমএ, মারজুয়ানা ব্যবহারের উল্লেখ। এক ড্রাগ ডিলার গৌরবকে রিয়া জানাচ্ছেন তার এমডিএমএ ড্রাগ ব্যবহারের কথা। আবার রিয়া এবং জয়া সাহার কথোপকথোনে দেখা যাচ্ছে, সেখানে তৃতীয় কোনই ব্যক্তিকে চা, কফি বা জলের সঙ্গে চার ফোঁটা মাদক মিশিয়ে খাওয়ানোর কথা বলা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, এই তৃতীয় ব্যক্তি কি সুশান্ত, যাকে তার অজান্তে ওষুধ দেওয়ার নাম করে ড্রাগ দিতেন রিয়া? তদন্তকারীরা সবদিকই খতিয়ে দেখছেন। এদিকে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠার পর রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, রিয়া ড্রাগ নিতেন না। এটা প্রমাণ করার জন্য তিনি যেকোনও পরীক্ষা দিতে রাজি।

 

 

 

Previous articleমাঝারি মাপের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দুর্গাপুর
Next articleরাঁধুনির কাজ থেকে লাইব্রেরিতে নিয়োগ, বৃদ্ধের আবেদনে সাড়া মুখ্যমন্ত্রীর