সুশান্তকাণ্ডে আজ নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। রবিবার সাতসকালে রিয়ার জুহু তারা রোডের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁকে তলবের সমন ধরিয়ে আসে এনসিবি। এই তদন্তকারী সংস্থার মুম্বই শাখার প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বে একটি দল গিয়ে রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে রিয়া চক্রবর্তীকে।

আরও পড়ুনঃজেরার মধ্যেই বাদানুবাদ, মাদকচক্র ইস্যুতে মামলা দায়ের রিয়ার বিরুদ্ধে

এদিকে, নিষিদ্ধ মাদক যোগে সুশান্তকাণ্ড নিত্য নতুন মোড় নিচ্ছে। শনিবার রাতে প্রয়াত অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটের হাউজকিপার দীপেশ সাবন্তকে গ্রেফতার করে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। শৌভিক চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেফতারের পর দীপেশের গ্রেফতারি বুঝিয়ে দিয়েছে সুশান্তকাণ্ডে নিষিদ্ধ মাদক যোগের শিকড় কতটা গভীরে! রবিবার বেলায় দীপেশকে তোলা হবে আদালতে। তার হেফাজত চাইবে এনসিবি। এদিকে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শৌভিক চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরান্ডার হেফাজত পেয়েছে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো।

আরও পড়ুনঃ “দোষী সাজানো হচ্ছে রিয়াকে?” অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন স্বরার
সুশান্তকাণ্ডে দুজনকেই শুক্রবার এনডিপিএস আইনে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাদের তোলা হয় মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড কোর্টে। তাদের বিরুদ্ধে ২০ (বি), ২৮, ২৯, ২৭(এ) ধারা দিয়েছে এনসিবি। রবিবার সুশান্তের বান্ধবী রিয়াকে তলব করেছে এনসিবি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্রে রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবহার ও কেনাবেচার গুরুতর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃসুশান্ত মৃত্যু মামলায় রাজসাক্ষী সিদ্ধার্থ-দীপেশ! অসঙ্গতি রিয়ার কথায়

এনসিবি সূত্রে খবর, রিয়াকে তাঁর ভাই শৌভিকের মুখোমুখি বসিয়ে এই বিষয়ে জেরা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা জানিয়েছেন, প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত নিয়মিত নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করতেন। সুশান্তের নির্দেশেই তাঁর ব্যবহারের জন্য স্যামুয়েল মাদক কিনত বলে জেরায় উঠে এসেছে। অন্যদিকে, সুশান্ত ও রিয়া দুজনেই মাদক সেবন করতেন বলে জেরায় জানিয়েছে একাধিক ব্যক্তি।
