ভাঙড়ে ফুল-মিষ্টি সহযোগে পুরোনো কর্মীদের মান ভাঙিয়ে সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক তৃণমূলের

একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ক্রমশ নিজেদের ঘর গুছিয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড় থেকে জঙ্গল, সাগর থেকে শহর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিজেপি ও বিরোধী শিবির ছেড়ে ঘাসফুল যোগদান অব্যাহত। প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি ও বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসক দলে সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যোগদানের হিড়িক।

বিরোধী শিবির থেকে যেমন নেতা-কর্মীদের দলে টানার প্রক্রিয়া চলছে, ঠিক একইভাবে দলের পুরোনো দিনের অনেক নেতা-কর্মী, যাঁরা বিভিন্ন কারণে নিষ্ক্রিয় হয়েছিলেন, তাঁদেরও সক্রিয় করার কাজ চলে ঘাসফুল শিবিরে। বিশেষ করে দীর্ঘ বাম জমানায় যাঁরা সিপিএমের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন, খারাপ দিনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন, পরিবর্তনের সৈনিক ছিলেন, তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করা হলো। অভিমানী নেতা-কর্মীদের কাছে টেনে নেওয়া হলো।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোটা ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রজুড়ে একটি চা-চক্র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দলের পুরোনো সৈনিকদের সক্রিয় করা হলো। সম্মান প্রদর্শন হিসেবে এই কর্মীদের ফুল-মিষ্টি সহযোগে বুকে টেনে নিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দীর্ঘদিন অভিমানে বসে থাকা নেতা-কর্মীদের দলীয় নকশার উত্তরীয় পরিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।

মূলত, তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য নান্নু হোসেনের উদ্যোগে যাঁরা এতদিন ব্রাত্য ছিলেন তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে আগামীদিনে সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তা দিলেন নান্নু হোসেন। অভিমানীরা কর্মীরাও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় নতুন উদ্যমে দলের হয়ে কাজ করার শপথ নিলেন ভাঙড়ে।

আরও পড়ুন- মানুষকে পাশে নিয়ে বিধানসভায় বুথে বুথে কর্মীদের লিড বাড়ানোর নির্দেশ অনুব্রতর

 

Previous articleকঙ্গনার অফিসে বৃহন্মুম্বই পুরসভার তল্লাশি, অভিযোগ রাজনৈতিক অভিসন্ধির
Next articleভোডাফোন-আইডিয়া এখন ‘ভিআই’, জেনে নিন নতুন প্ল্যানগুলি