ঠাণ্ডা পড়ে গেল! সেপ্টেম্বরের লকডাউনে জবুথুবু দার্জিলিং

কিশোর সাহা

ভাদ্র মাসেই ঠাণ্ডা পড়ে গেল! সেপ্টেম্বরের প্রথম লকডাউনেই এমন ছবি দেখা গেল কুইন অফ হিলসে।

৭ সেপ্টেম্বর, সোমবার ঘুম স্টেশনে দেখা গেল হু হু করে ঠাণ্ডার ছবি। গরম বলতে একমাত্র টয় ট্রেনের ইঞ্জিনের ধোঁয়া।

বস্তুত, এটাই সেপ্টেম্বরের প্রথম লকডাউনের ছবি দার্জিলিঙের। কনকনে বাতাস বইছে শৈলশহরে। ভারী জ্যাকেট পরে লোকজন ঘুরছেন পখে পথে। দার্জিলিঙের ম্যাল টু বাতাসিয়া লুপ, ঘুম রেল স্টেশন টু টাইগার হিল, সব রাস্তাতেই স্রেফ উৎসাহী লোকজনের আনাগোনা। তার বাইরে কেউ নেই।

সোমবার সকালের কথাই ধরা যাক। সাতসকালেই দার্জিলিং শহর থেকে ঘুমের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন সোনম ডুপকা। তাঁর গন্তব্য হল টাইগার হিল। সেখানে কী পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়েছিলেন দার্জিলিঙের একটি কলেজর অধ্যাপক সোনম। কিন্তু, মাঝরাস্তায় জানতে পারেন, জোড়বাংলোর পরে আর যাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, উপরে নাকি তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে।
অগত্যা, সোনম দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুম স্টেশনে নেমেছেন। সেখান লকডাউনের জন্য ট্রেনের আনাগোনাব নেই। তবে কু-ঝিকঝিক ইঞ্জিন সচল রাখার জন্য রেলকর্মীরা পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সোনম জানান, সেটা দেখতে গিয়েই বিকেল গড়িয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় সোনমরা দার্জিলিঙে কলেজের ক্যাম্পাসে ফেরেন।

এদিন লকডাউনে সকাল থেকেই শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির জন্য জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল। তার মধ্যেই পুলিশের কড়াকড়ি। সব মিলিয়ে মহালয়ার আগের সপ্তাহে শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গে লকডাউউনে আম-জনতা ছিল সন্ত্রস্ত।

ঘটনা হল এটাই যে আপাতত কেউই চাইছেন না লকডাউন আরও হোক। কারণ, সকলেই বুঝে গিয়েছেন, করোনার সঙ্গে লড়াই করেই বাকি জীবনটা চালাতে হবে।

আরও পড়ুন : নিউ নর্মালের জের, পৃথিবীর দু’প্রান্তে বসে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা জুমে

Previous articleপ্রোমোটারি রাজ: মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ
Next articleদ্বিতীয় দিনেও ছাড়া পেলেন রিয়া, কাল ফের জেরা করবে এনসিবি