গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানে পুরুলিয়ার নাম অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

মহামারি পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জুন মাসে ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ প্রকল্পের সূচনা করে কেন্দ্র। এরপরই প্রশ্ন ওঠে এই প্রকল্পে কি জেলাগুলির নাম অন্তর্ভুক্ত হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে হাইকোর্টের এক নির্দেশ।

সোমবার হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করার উপায় বাতলে দিল। প্রধান বিচারপতি টি বি  রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ যে ইঙ্গিত দিয়েছে তাতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে অনেক জেলা। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পুরুলিয়ার জেলাশাসককে প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, “প্রকল্পের যে মাপকাঠি আছে তা পূর্ণ হলে তবে এই প্রস্তাব পাঠাবেন জেলাশাসক।”

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নাম না পাঠানোয় মামলা দায়ের করেন  বাঘমুন্ডির কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ প্রকল্পে নাম নেই পুরুলিয়ার। কিন্তু প্রকল্পের নাম থাকার যোগ্যতা মান রয়েছে পুরুলিয়া জেলার। সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রায় ৩৯ হাজার শ্রমিক ফিরেছেন বলে দাবি করেন নেপাল মাহাতর।

২০ জুন ২০২০ নিজ নিজ রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এই প্রকল্পের ঘোষণা করে কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছিল প্রাথমিকভাবে আগামী ১২৫ দিনের জন্য এ প্রকল্পের অধীনে কাজ হবে। কেন্দ্র দাবি করে প্রকল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না বলে সরব হন বিরোধীরা।

নেপাল মাহাতো এই নিয়ে পুরুলিয়া জেলা শাসকের কাছে দু’দফায় আবেদন করেন। কিন্তু তাতে কোন ফল মেলেনি। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দায়ের করেন জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর জানান,  “কেন্দ্রের এই প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের সব জেলাই পেতে পারে। তবে সুবিধা পেতে গেলে সব ধরনের যোগ্যতামান অর্জন করতে হবে।”

এরপরই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন পুরুলিয়ার জেলাশাসককে। আদালত জানিয়েছে, হাইকোর্টের মামলার নথি সহ এক সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসককে আবেদন করতে হবে। আবেদন বিবেচিত হলে সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেবেন জেলাশাসক। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের।

আরও পড়ুন- পুলিশ-নাগরিক সহযোগিতার ডাক নারকেলডাঙা থানায়

Previous articleঅভিষেকের স্ত্রীর করোনা, ভর্তি হাসপাতালে
Next articleনেই হু’এর ছাড়পত্র, সাধারণের হাতের নাগালে রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ফাইভ’