রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অব্যাহত। আর সেই কারণেই আবারও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে কটূক্তি করে বসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হ্যারিসের ওপর ফের বেজায় চটে গেলেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বাইডেন যাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছেন, সেই কমলা হ্যারিসকে ট্রাম্প বললেন, “মানুষ ওকে পছন্দ করে না। উনি আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হলে খুব লজ্জার ব্যাপার হবে।”
চলতি বছরের নভেম্বরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা সেখানে। এখন সেদেশে নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে। তার মধ্যেই কমলার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মৌখিক সংঘাত চলছেই।
নর্থ ক্যারোলিনায় একটি র্যালিতে অংশ নিয়ে ট্রাম্প কমলাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘মানুষ কমলা হ্যারিসকে পছন্দ করে না। কেউই তাঁকে পছন্দ করে না। উনি কখনই আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সেটা হলে দেশের জন্য খুবই লজ্জার ব্যাপার হবে।’’ এটুকুতেই থেমে যাননি তিনি সঙ্গে সমালোচনাও করেন ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেনের।
ট্রাম্প বিডেন প্রসঙ্গে বলেন, “ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন’–এ চিনের প্রবেশকে সমর্থন করেছিলেন বিডেন। এদিকে, প্রথম দিন থেকে আমেরিকা এই আন্তর্জাতিক সংস্থার সমস্ত নিয়মবিধি মেনে চললেও চিন তার উলটো পথে হেঁটেছে। কোনও নিয়মও মানেনি। তা সত্ত্বেও বিডেন যে ভাবে চিনকে সমর্থন করেন, তিনি জিতলে গোটা আমেরিকাকে দখল করা চিনের পক্ষে সহজ হয়ে যাবে।”
এখনও পর্যন্ত আমেরিকা করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। এখন সেদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬৩ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হয়েছেনে জো বিডেন। তিনিই ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করেছেন কমলা হ্যারিসকে। তারপর থেকেই কমলার বিরুদ্ধে তোপ দেগে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে একজন মহিলা বসবেন এই বিষয়টি আমি সমর্থন করি। তাই বলে, কমলার সেই যোগ্যতা নেই, বরং প্রেসিডেন্ট পদে ইভাঙ্কা ভাল কাজ করতে পারবে। গত বার ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌড় থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। কারণ শুরুটা ভালো হলেও দিন এগোলেও তাঁর জনপ্রিয়তা একেবারেই কমে গিয়েছিল। আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে এই বিডেন-হ্যারিস জুটি।”
আরও পড়ুন- পরীক্ষা নিয়ে ভিন্নমত দেওয়ার ‘অপরাধ’, পড়ুয়ার বেনজির আক্রমণের মুখে অধ্যাপিকা