জীবনে নতুন সম্পর্ক, খোঁজ নেয় না বিউটি, ক্ষোভ শহিদ অমিতাভর বাবার

পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিককে মনে আছে? গুরুং বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে দার্জিলিং-এর পাতলেবাসে যিনি শহিদ হয়েছিলেন। ২৬ বছরেই থমকে গিয়েছিল তাঁর তরতাজা জীবন। সদ্য বিববাহিত স্ত্রী বিউটি মালিক স্বামীর শোকে হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন। সেই বিউটি এখন অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তেমনই ইঙ্গিত তাঁর শ্বশুর বাড়ির।

২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর পাতলেবাসে গুরুং বাহিনীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ অফিসার অমিতাভ। সেই বছর পুজো মণ্ডপ থেকে ক্লাব সর্বত্রই ছিল শহিদ অমিতাভ মালিকের উদ্দেশে শ্রদ্ধা। পেরিয়ে গিয়েছে তিনটে বছর। বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। স্বামীর মতোই পুলিস অফিসার হতে চেয়েছিলেন বিউটি। স্বামী অমিতাভের মৃত্যুর পর তাঁর উর্দি আঁকড়ে ধরেছিলেন। কিন্তু এখন কেমন আছেন বিউটি? কেমন আছেন অমিতাভ মালিকের বাবা-মা।

আরও পড়ুন  : গ্রিলস-এর সঙ্গে দুঃসাহসিক অভিযানে অক্ষয়, হিংস্র প্রাণীদের সঙ্গে জঙ্গলে খিলাড়ি

সদ্য চলে যাওয়া পুলিশ দিবসে অমিতাভ মালিককে স্মরণ করে তাঁরে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বারাসত ইয়ং জেনারেশনের সদস্যরা। সেখানে আমন্ত্রিত ছিল অমিতাভর পরিবার। সেখানেই তাঁদের হাতে ফুল, মিষ্টি তুলে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর সেখানেই অন্য সুর শোনা যায় অমিতাভের বাবার গলায়। বউমা বিউটি সরকারি চাকরি পেয়ে তাঁদের দেখার বদলে আগেই বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন অভিযোগ ছিল। এখন অভিযোগ বিউটি তাঁদের ভুলেই গিয়েছেন। নতুন জীবনে, নতুন মানুষ এসেছে। এক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে সম্পর্কের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।এই নিয়ে বিউটির প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায় নি।

২০১৪ সালে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন অমিতাভ। ২০১৫ সালে দার্জিলিং সদর থানায় তাঁর পোস্টিং হয়েছিল।নতুন বিয়ে করেছিলেন অমিতাভ। পুলিশে চাকরির বাইরে নব দম্পতির মধ্যে তখন ভরপুর রোম্যান্স। অসংখ্য স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন শুরুতেই শেষ হয়ে যাবে ভাবতে পারেননি বিউটি। দার্জিলিং তখন অশান্ত। গুরুং বাহিনীর পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব। আগুন জ্বলছে পাহাড়ে। গুরুংকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছিল। সেই অপারেশনেই গিয়েছিলেন অমিতাভ মালিক। তরতাজা পুলিশ অফিসার। রাতের অন্ধকারের অপারেশনে বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে যান তিনি।

বিউটির সমস্ত স্বপ্ন ফুরিয়ে যায়। সদ্য বিবাহিতা তরুণীর বৈধব্যে সেদিন কেঁদেছিল গোটা রাজ্য। বিউটিকে চাকরি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু কিছুদিনেই নাকি বদলে গিয়েছিল পরিস্থিতি। বিউটি চাকরি টাকা নিয়ে বাপের বাড়িতে নতুন করে বাঁচছিল। অভাব-অনটনে জর্জরিত হচ্ছিলেন অমিতাভের বাবা, ভাই। তারপর অমিতাভের ভাইকেও চাকরি দেওয়া হয়।

পুলিশ দিবসে অমিতাভ মালিককে শ্রদ্ধা জানানো হলেও, বিউটির আচরণে ক্ষুব্ধ তাঁর শ্বশুরবাড়ি।

Previous articleগ্রিলস-এর সঙ্গে দুঃসাহসিক অভিযানে অক্ষয়, হিংস্র প্রাণীদের সঙ্গে জঙ্গলে খিলাড়ি
Next article‘সিঙ্গুরে ঘাসচারা জন্মেছে’, ফের রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ দিলীপের