ইরাক, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরানোর নির্দেশ ট্রাম্পের

নভেম্বরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।তার আগে খুব মেপে-বুঝে পা ফেলতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের একটা অংশকে তিনি ফিরিয়ে আনতে চলেছেন নিজের দেশে। ইরাক ও আফগানিস্তান মিলিয়ে ১৪ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। শোনা যাচ্ছে দুই দেশ থেকে বেশ কিছু মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করছেন তিনি।

আরও খবর : ‘কমলা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলে খুব লজ্জার’, হ্যারিসকে তীব্র কটূক্তি ট্রাম্পের

এর পিছনে কারণ নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, বছর দুই আগে ফ্রান্সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শহিদ সৈনিকদের স্মৃতিসৌধ দেখতে যেতে অস্বীকার করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁদের তিনি পরাজিত সৈনিক বলে কটাক্ষ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখে ট্রাম্পের এই মানসিকতা হাতিয়ার করে উঠেপড়ে লেগেছেন ডেমোক্র্যাটের জো বিডেন।রিপাবলিকান ট্রাম্পকে এ জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছেন তিনি।

আরও খবর : এক বছর ‘গোপন কথাটি গোপনই’ রাখতে চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা!

সূত্রের খবর, নেতিবাচক পরিস্থিতি এড়াতে, তাঁর বিরুদ্ধে যাতে বিরূপ জনমত তৈরি না হয় সে কারণেই আগে বিভিন্ন সময় ভোটারদের দেওয়া কথা রাখতে চাইছেন না।আফিগানিস্তান, ইরান থেকে মার্কিনি সেনাদের দেশে ফেরাতে চাইছেন। ওই দুই দেশে সেনা মোতায়েন নিয়ে দুই দেশের যেমন আপত্তি, তেমনই মার্কিন সেনাদের অনেকের পরিবারও এতে ক্ষুব্ধ।

আফগানিস্তানে ৮, ৬০০ সেনা রয়েছে মার্কিন মুলুকের। তাঁদের একাংশকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ৪০০০ সেনা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

আরও খবর : ভাইরাল নেশাগ্রস্ত সুশান্তের ভিডিও, রিয়ার পুরনো টুইট ঘিরে শোরগোল নেট পাড়ায়

এদিকে আইসিস জঙ্গি মোকাবিলায় ৫ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে ইরাকে। সূত্রের খবর, সেখানে জঙ্গি কার্যকলাপ রুখে দেশের ক্ষতি হওয়া সৌধ, স্থাপত্য, ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে।

ইরাকে ৫,২০০ থেকে সেনা কমিয়ে ৩০০০ করার পরিকল্পনা রয়েছে।এদিকে চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন ড্রোন হানায় কুদোস কম্যান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি-সহ জঙ্গি সংগঠনের উপপ্রধান আবু মহদির মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব ইরাক।মার্কিন ড্রোন হানাকে ইরাক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বলেছিল। মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ মার্কিন কম্যান্ডার জেনারেল কেন্নেথ ম্যাকেঞ্জি বলেন, আইসিস জঙ্গি মোকাবিলায় ইরাকের বাহিনীর ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে। তাই মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হচ্ছে। তবে যাঁরা থাকবেন তাঁরা ইরাকের বাহিনীকে সাহায্য করবেন।

Previous articleশোভনকে ‘তুষ্ট করতে’ কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক বৈশাখীকেও
Next articleঅনুপমের মুখে এবার ইংরেজি গান, আসছে নতুন ভিডিও