নীলাঞ্জনাই আজকের মহিলাদের অনুপ্রেরণা! “সাহসিনী”-কে কুর্নিশ মিমির

তিলোত্তমার রাতের কান্না আমাদের কানে আসে না। চোখের সামনে বিপদ দেখলে এড়িয়ে যাই আমরা। অসহায়-আর্ত মানুষের পাশে এগিয়ে যেতে কিন্তু কিন্তু করি। কিন্তু এই শহর এখনও অতটা অমানবিক হয়নি। তাই আমাদের প্রিয় তিলোত্তমা কলকাতা এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সম্প্রতি, আনন্দপুরকাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আরও এক মহিলা। ভয় না পেয়ে অসহায় নিপীড়িত সেই তরুণীকে রক্ষা করতে গিয়েই গুরুতর জখম হন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। গত সোমবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তিনি স্থিতিশীল।

নীলঞ্জনাদেবীর সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্য সরকার তাঁর সমস্ত চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।

“সাহসিনী” নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়কে এবার কুর্নিশ করলেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এদিন সোশ্যাল মিডিয়া মিমি লেখেন, ”আপনার মতোন আরও অনেক মানুষের প্রয়োজন নীলাঞ্জনাদেবী”। আপনি অনুপ্রেরণা আমার এবং আমাদের মতো অনেক মেয়ের কাছে আজ। কুর্ণিশ জানাই আপনাকে… আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি”।

বছর তিনেক আগে মিমি চক্রবর্তীও রাতের কলকাতায় কিছুটা এমনই এক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন।” সেলিব্রিটি” কিন্তু অসহায়-আর্তকে রাস্তায় ছেড়ে চলে যাননি। লেকটাউন এলাকায় মত্ত গাড়ি চালক এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শো করে ওই রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন মিমিও। সেসময় অভিনেত্রী গাড়ি নিয়ে ওই চালকের পিছু নেন এবং তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এবার নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ও এমনই মানবিক কাজ করলেন। নয়াবাদের ফ্ল্যাটের সামনে থেকে হন্ডাসিটি করে আনন্দপুরের এক তরুণীকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন যাদবপুরের তার প্রেমিক অভিষেক পাণ্ডে। কিন্তু পরে চলন্ত গাড়ির মধ্যেই প্রেমিক-প্রেমিকার বচসা হয়। অভিযোগ বাধা দিতে গেলে চলন্ত গাড়িতেই মারধর করা হয় তরুণীকে। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন নিলাঞ্জনাদেবী। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রক্ষা করেন তরুণীকে। আর সেটা করতে গিয়েই গুরুতর জখম হতে হয় তাঁকে।

আরও পড়ুন- আদিবাসী দম্পতির মুণ্ডুহীন দেহ! হাড় হিম করা ঘটনায় চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়

Previous articleআদিবাসী দম্পতির মুণ্ডুহীন দেহ! হাড় হিম করা ঘটনায় চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়
Next articleকংগ্রেসে রদবদল, স্টিয়ারিং নবীনদের হাতে, বাংলার পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ