একুশেই মিলবে ভ্যাকসিন! প্রথম টিকা নিতে রাজি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সবকিছু ঠিক থাকলে আর এক বছর অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যেই দেশে চলে আসবে ভ্যাকসিন। রবিবার এই আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও মানব কল্যাণ মন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন যদি প্রথম তাঁকে নিতে হয় তাহলেও তিনি রাজি।

দেশ জুড়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। এই আবহে প্রত্যেকের মনে একটাই প্রশ্ন, কবে আসবে ভ্যাকসিন? ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিন্তু ভাইরাস সংক্রমণ রোধের জন্য তাড়াহুড়ো করে ভ্যাকসিন আনা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে কেন্দ্র পরিকল্পনা করেছিল, স্বাধীনতা দিবসের আগেই ভারতে ভ্যাকসিন আনা হবে। কিন্তু সেই বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মানুষের জীবন নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যা বলেছেন তাতে স্পষ্ট চলতি বছর দেশে ভ্যাকসিন আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিন তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন কবে আত্মপ্রকাশ করবে, তা নিয়ে কোনও দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, ২০২১ সালের প্রথম তিনমাসের মধ্যেই তা চলে আসবে।” রবিবার তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের দাম যাই হোক না কেন, যাদের বেশি প্রয়োজন তাঁরাই আগে পাবেন। ভ্যাকসিন আগে পাওয়ার এই তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন চিকিৎসক -স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং দেশের প্রবীণ নাগরিকরা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ভ্যাকসিন আসার পরেই। ভ্যাকসিনের দাম কত হতে পারে সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত এদিন মেলেনি।

প্রসঙ্গত, মহামারির কঠিন পরিস্থিতিতে শুক্রবারই আশার আলো দেখিয়েছে ভারতের বায়োটেক। ওইদিনই অ্যানিমেল ট্রায়ালের ফল প্রকাশ করেছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন। শুক্রবার সংস্থা জানিয়েছে, প্রাণীদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ট্রায়াল সফল হলেও এখনই টিকাকরণ হচ্ছে না, রবিবার তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন-সীমান্ত ও চিন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ থাকুক দেশ, সংসদকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

Previous articleবামেদের রক্তদান শিবিরে রক্ত দিয়ে রাজনীতিতে “সক্রিয়” বামপন্থী শ্রীলেখা
Next articleবাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত