গোঘাটে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি-ই! দাবি পরিবারের

হুগলির গোঘাটে তৃণমূল কর্মী গণেশ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তেজনা তুঙ্গে। এই ঘটনায় আরামবাগ মহকুমা এখনও উত্তপ্ত। বিজেপির দাবি, তাদের কর্মী গণেশ রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে খুন করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল নিহত গণেশ রায়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়। কারণ, তাদের ঘরের তালা ঝোলানো ছিল। এরপরই আরামবাগে পথ অবরোধ করে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল, পুলিশ নিহত পরিবারের সদস্যদের “হাইজ্যাক” করেছে। এই ঘটনার পরই রাতারাতি বদলির নোটিশ ধরানো হয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার তথাগত বসু এবং আরামবাগ এসডিপিও নির্মল দাসকে।

কিন্তু এরই মধ্যে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বিজেপির ওপরই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করার দায় চাপালেন নিহত বিজেপি কর্মী গণেশ রায়ের পরিবার। তাঁর ছেলের দাবি, বিজেপি নয়, বাবার মৃত্যুর পর তারা পাশে পেয়েছে তৃণমূলকেই। ছেলে বিশ্বজিৎ রায়ের কথায়, “আমার বাবা বিজেপি কর্মী ছিলেন। কিন্তু বলতে খারাপ লাগে সেই বিজেপি এখন আমাদের পাশে নেই। বরং, বাবার মৃত্যু নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। বাবার দেহ ময়নাতদন্ত থেকে শুরু করে বাড়ি নিয়ে আসা কিংবা শ্মশানে গিয়ে দাহ করা পর্যন্ত তৃণমূলের সমস্ত নেতাকর্মীরা আমাদের পাশে ছিলেন। সে সময় আমরা বিজেপির কাউকে দেখতে পাইনি।”

প্রসঙ্গত, গণেশ রায়ের মৃত্যুর পরই তার পরিবারের হাতে ১০০ দিনের জব কার্ড তুলে দিয়েছেন আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার। আগামী দিনেও তৃণমূল গণেশ রায়ের পরিবারের পাশে সবসময় থাকবে বলে জানিয়েছেন মানস মজুমদার। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তাঁরা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কাজ করেন। আর বিজেপি মানুষের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে।

Previous articleভারতে করোনা আক্রান্ত ছাড়ালো ৫০ লক্ষ
Next article‘ওপেন বুক এক্সাম’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত রবীন্দ্রভারতীর