নভেম্বরে শিক্ষাবর্ষ শুরু করা নিয়ে উপাচার্যদের মতামতকে অগ্রাধিকার উচ্চ শিক্ষা দফতরের

১ নভেম্বর থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর কথা বলেছে কেন্দ্র। এবিষয়ে উপাচার্যদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে চাইছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে ইউজিসি-র গাইডলাইন দেখেছি। শিক্ষাবর্ষের সময় কমলে সিলেবাস কী হবে সেটাও দেখতে হবে। এই বিষয়ে উপাচার্যদের মতামত নেওয়া হবে। উপাচার্যদের মতামত শুনে তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

শিক্ষাবর্ষ নিয়ে কমিটি তৈরি করেছিল ইউজিসি। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরুর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক নিজেই শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছেন। এবিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজ্যের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যদের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন ” শিক্ষাবর্ষ শুরু করার আগে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল-এর সদস্যদের মতামত নিয়ে থাকি। ইউজিসি শিক্ষাবর্ষ নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। এই বিষয় আগে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের মতামত নেব। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।’’ এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘১৯৫৬ সালে ইউজিসি প্রতিষ্ঠা হয়। ইউজিসি শিক্ষাবর্ষ নিয়ে গাইডলাইন দিচ্ছে সেটা আগে কখনও দেখিনি। গাইডলাইন জারি করার অর্থ কিছুটা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করা।’’ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র অবশ্য বলেন “অক্টোবর মাসে স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। ইউজিসি-র গাইডলাইন অনুযায়ী শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে খুব একটা সমস্যা হবে না। তবে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।’’

জানা গিয়েছে, সরকারিভাবে ইউজিসি এখনও পর্যন্ত এই গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠায়নি। কলেজে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা নিতে বলেছে রাজ্য। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি অক্টোবর মাসের মধ্যে স্নাতক স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা যাবে। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ে অক্টোবর মাসের মধ্যেই স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব। সেক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে করতে নভেম্বর গড়িয়ে যাবে বলেই ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির।

আরও পড়ুন-ভোটের লক্ষ্য স্থির করতে নাড্ডার সঙ্গে বাংলার বিজেপি নেতাদের বৈঠক

Previous articleরিলায়েন্স রিটেলে ৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ কেকেআর-এর
Next articleওপেনিং জুটিতে চমক দিয়েই আবু ধাবিতে আইপিএলের অভিযান শুরু করবে কেকেআর