PK-র সুপারিশ মেনে কলকাতার ব্লক সভাপতি পদে ঢালাও রদবদল তৃণমূলে

এবার কলকাতার সংগঠন গুছিয়ে নিলো তৃণমূল৷
বদল করা হলো শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের দলীয় সভাপতি৷ অধিকাংশ ওয়ার্ডেই অবশ্য প্রাক্তন কাউন্সিলরদেরই সভাপতি পদে বসানো হয়েছে।
আর এই রদবদলের ভিত্তি হিসাবে ধরা হয়েছে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্ট। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বা একসঙ্গে সম্ভবত হতে পারে স্থগিত থাকা কলকাতা পুরসভার ভোট। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কলকাতার সংগঠন শক্তিশালী করতে চাইছে তৃণমূল৷ অধিকাংশ ওয়ার্ডেই দলের প্রাক্তন কাউন্সিলরদেরই সভাপতি করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্ত প্রশান্ত কিশোরের। পিকে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই সমীক্ষা চালিয়েছিলেন৷ সমীক্ষার ভিত্তিতে আলাদা আলাদা রিপোর্ট তৈরি করেছেন। যাদের নামে নেতিবাচক তথ্য বেশি এসেছে, তাদের সবাইকে এক ধাক্কায় বাতিল করেছেন তৃণমূল নিযুক্ত এই ভোট স্ট্র্যাটিজিস্ট। শোনা যাচ্ছে, পিকের পরামর্শেই
তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্যে এখনও দরজা খোলা রাখা হয়েছে৷ শোভনের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও কাউকে সভাপতি করা হয়নি।তৃণমূলের অন্দরের দাবি, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি পদের জন্যে তৃণমূলের শীর্ষস্তরে পছন্দের দু’টি নামও পাঠিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ কলকাতার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পদ খালি রাখা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, এই ওয়ার্ডের সভাপতি পদ নিয়ে এক মহিলা সাংসদের সঙ্গে এক মন্ত্রীর ইগোর লড়াই চলছে। সেই কারণেই আপাতত ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতির নাম ঘোষণা হয়নি। ওদিকে উত্তর কলকাতায় বেশ কিছু ওয়ার্ডের সভাপতি পদে বসানোর জন্য এক মন্ত্রী যে সব নাম পাঠিয়েছিলেন, তার ৯৫ শতাংশ খারিজ হয়েছে৷ শোনা যাচ্ছে, ওই মন্ত্রীর সঙ্গে ইদানিং না’কি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ফারাক তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন- আজ কলকাতায় NIA আদালতে হাজিরা দেবেন ছত্রধর মাহাতো
বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই গত জুলাই মাসেই তৃণমূল সংগঠনে ঢালাও বদল ঘটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের পর এই রদবদল প্রত্যাশিতই ছিল। নবীন-প্রবীণ ভারসাম্য রেখেই দল সাজিয়েছেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতার পুর ভোটকে টার্গেট করে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের ওয়ার্ড সভাপতি করেছে তৃণমূল।

Previous articleআজ কলকাতায় NIA আদালতে হাজিরা দেবেন ছত্রধর মাহাতো
Next articleঅক্টোবর থেকে কলকাতা থেকে রোজ ৬ শহরে বিমান চলাচলের আশা