বাজারে সবজির দর আকাশছোঁওয়া, চাষিদের ভরসা আবহাওয়ার পরিবর্তন!

বাজারে সবজির দর যেভাবে ক্রমেই বেড়ে চলেছে তাতে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। উত্তর থেকে দক্ষিণ 24 পরগনা, শহর থেকে শহরতলিতে এমনকি রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও একই ছবি। একদিকে মহামারির আবহে দীর্ঘ লকডাউন, অন্যদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনে কোথাও কোথাও লাগাতার বৃষ্টি। এরই সঙ্গে গোদের ওপর বিষফোঁড়া মতো যোগ হয়েছে অপ্রতুল যোগান। সব মিলিয়ে পুজোর মুখে বাজারদর আকাশছোঁওয়া।

আরও পড়ুন- অক্টোবরে চলবে কি লোকাল ট্রেন? আনলক ৫ নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা
শুধু কাঁচা লঙ্কা বা পেঁয়াজ নয়, সব আনাজে চড়া দামের ঝাঁঝে রীতিমতো চোখে জল মধ্যবিত্তের । উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র এই দাম বাড়ার জন্য চাষিরা দুষছেন বৃষ্টিকে। বরং তাদের অভিযোগ, জেলায় জেলায় রাজ্যের তরফে নজরদারি চালানো হলেও ফড়েদের দাপট কমানো যায়নি।
চাষিরা জানিয়েছেন, কপি-বিট-গাজর বাজারে আসতে অক্টোবরের মাঝামাঝি হয়ে যাবে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মত, এই অবস্থায় একমাত্র মেঘমুক্ত আকাশ এবং পর্যাপ্ত রোদ পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।
শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বাজারে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। মালদহ ও দুই দিনাজপুরে পটল, ঝিঙের দর ৫০-৬০ টাকা কেজি। চাষিদের দাবি, বৃষ্টিতে জমিতে জল দাঁড়ানোয় সমস্যা বেড়েছে।
ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, দাম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নিতে সরকারি টাস্ক ফোর্স বাজারে নজরদারি চালালেও তা অনিয়মিত । পশ্চিম মেদিনীপুরে পটল ৫৫- ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে । প্রশাসন সূত্রে দাবি, বাজারে যে দামে আনাজ বিকোচ্ছে তা ফড়েদের দৌলতে। টাস্কফোর্সের প্রতিনিধিরা চেষ্টা করছেন নজরদারি চালিয়ে ফড়েরাজ বন্ধ করার। কৃষকসভার বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায়ের অভিযোগ, “চাষিরা লাভ পাচ্ছেন না, ফড়েরা মুনাফা লুটছে।’’
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় সব বাজারেও আনাজের দাম আকাশছোঁওয়া।
হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের চাষিরা জানিয়েছেন, অক্টোবরে পরিস্থিতির বদল ঘটবে বলে তারা আশাপ্রকাশ করেছেন ।

Previous articleকোয়ারেন্টাইনে থাকলে পোস্টাল ব্যালটে ভোট, জানাল কমিশন
Next articleমোদির PM CARES-এ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ‘দান’ হাজার হাজার কোটি টাকা