মোবাইল কেড়ে নিল, বাথরুম যাওয়া বন্ধ হল, কাকে পোড়াল? বিস্ফোরক নিহত নির্যাতিতার মা

মন খুলে কথা বলার সুযোগ পেয়েই সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্ফোরণ নির্যাতিতার ভাইয়ের। বললেন, কী করেছিল আমার দিদি যে, তার উপর দু’দুবার অত্যাচার হলো? একবার করল ওই চার পাষণ্ড, আর দ্বিতীয়বার প্রশাসন।

গ্রামের বাড়িতে এদিন সকাল থেকেই মিডিয়ার ভিড়। ভিড় বেশি মা আর ভাইকে নিয়েই। মুখ ঢাকা অবস্থায় ভাইয়ের বিস্ফোরণ, একবার ওরা নৃশংস অত্যাচার করে হাত-পা-জিভ কেটে ঘাড় ভেঙে দিল। হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর বোনের দেহটা পর্যন্ত দিল না। বলল, এত বীভৎস হয়েছে দেহ, কাটা-ছেঁড়া করা হয়েছে, দেখতে পারবেন না। কেন দেখতে দিল না! ওইভাবে ঝোপ-ঝাড়ের মধ্যে স্যনিটাইজার ঢেলে, কেরোসিন ঢেলে গাছের ডাল-দিয়ে দাহ হয়েছে। কাকে দাহ করা হলো, জানি না। আমরা কী দোষ করেছিলাম, যে মৃত বোনের দেহ পর্যন্ত দেওয়া হলো না!

নিহত নির্যাতিতার মাও বললেন, কাকে পোড়াল জানি না। আমার মেয়ে কিনা জানি না। মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে দিল না। জেলা শাসক এসে ভয় দেখিয়ে গিয়েছে, বয়ান না দেওয়ার জন্য। এই জেলা শাসকের কার্যত ফাঁসি চেয়েছেন নির্যাতিতার মা। বলেছেন, ক’টা দিন আমাদের জীবন ছারখার করে দিয়েছিল। আমাদের বাথরুম যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা ছিল।

কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার মা, আমাদের ক্ষতিপূরণ দেবে? ক্ষতিপূরণ নয়, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিন। যদি পারেন সেটা করুন। ইনসাফ চাই। আমাদের দাবির কথা পরে আসবে, আগে চাই বিচার। কারওর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছিল না। মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল। বাড়ির ছাদে পুলিশ পাহাড়া বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভয়ে আমরা ঘরের ভিতরে থাকতাম। পারলে আমাদের সঙ্গে বাথরুমেও যেত। ঘরে খাবার ফুরিয়ে গিয়েছিল, তবু বাইরে বেরতে দেওয়া হয়নি। আমরা না খেয়ে কার্যত কটা দিন কাটিয়েছি।

জেলা প্রশাসনকে বলেছিলাম, অন্তত একবার ঘরের দরজায় মেয়ের দেহ রাখা হোক। অন্তত একবার মুখটা দেখি। দেখে অন্তত একবার জেনে নিতে পারতাম ওটা আমার মেয়ে। ওরা আমাদের মেয়েকে শুধু ছিনিয়ে নিল তাই নয়, জীবনটাকেও শেষ করে দিল।

আরও পড়ুন-হার যোগী প্রশাসনের, মিডিয়ার সামনে ক্ষোভ, চক্রান্তের কথা উগরে দিলেন মা-ভাই

Previous articleখুন নয়, আত্মহত্যা করেছিলেন সুশান্ত, সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ এইমসের চিকিৎসকদের
Next articleবিশ্বের বৃহত্তম টানেল উদ্বোধনে গিয়েও ইউপিএ সরকারকে খোঁচা মোদির