উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দলিত কিশোরীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসংবেদনশীলতার অভিযোগে মুখ পুড়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকারের। চাপের মুখে বিক্ষোভে প্রলেপ দিতে পুলিশ সুপার সহ পাঁচজনকে সাসপেন্ড ও সিবিআই তদন্তের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর এর মধ্যেই এবার চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন ও নারীবিদ্বেষী কথা বলে বিতর্ক আরও বাড়ালেন যোগী- রাজ্যেরই এক বিজেপি বিধায়ক। বালিয়ার বিতর্কিত বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংয়ের বক্তব্য, সরকার বা প্রশাসন নয়, মেয়েদের ভাল সংস্কারই একমাত্র ধর্ষণ থামাতে পারে। অর্থাৎ ধর্ষকদের জঘন্য অপরাধের নিন্দা না করে এই ব্যক্তি মেয়েদের সংস্কার করতে বলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিধায়কের এই মন্তব্যের সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, মহিলাদের সম্পর্কে বিজেপি দল ঠিক কী মনোভাব পোষণ করে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি।

হাথরাসের ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম সুরেন্দ্র সিংকে প্রশ্ন করে, রামরাজ্য বলার পরেও এখানে কেন এত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে? তার জবাবে সুরেন্দ্র সিং বলেন, সব মা-বাবার কর্তব্য হল তাঁদের মেয়েদের ভাল সংস্কার দেওয়া, একটা উপযুক্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশে তাদের বড় করা। আমি একজন বিধায়ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন শিক্ষক। ধর্ষণের মতো ঘটনা শুধুমাত্র সংস্কার দিয়েই থামানো যায়, শাসন বা তলোয়ার দিয়ে নয়। বিজেপি বিধায়ক আরও বলেছেন, এটা আমার ধর্ম, সরকারের ধর্ম, একইসঙ্গে পরিবারেরও ধর্ম। যখন সরকার সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তখন পরিবারও সন্তানদের মধ্যে ভাল সংস্কার তৈরি করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংস্কার ও সরকার মিলেই এক উজ্জ্বল দেশ তৈরি করতে পারবে। এছাড়া অন্য পথ নেই।
অতীতে নানা ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করার রেকর্ড রয়েছে এই বিজেপি বিধায়কের। এবার ধর্ষণ প্রসঙ্গে ধর্ষক অপরাধীদের নিন্দা না করে উল্টে মেয়েদের ‘ভাল’ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নিজের সঙ্কীর্ণ অন্ধকার মানসিকতাকেই প্রকাশ্যে তুলে ধরলেন এই বিজেপি বিধায়ক।

আরও পড়ুন-যোগীর রাজ্যে পুলিশি জুলুমের ‘সোজা বাংলায়’ প্রতিবাদ প্রতিমার
