ফের বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন, পাঁচ হেভিওয়েট নেতার অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগদান

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একদিকে যেমন ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখন বিজেপি-সহ বিরোধীদের ঘরে ভাঙন অব্যাহত। পাহাড় থেকে জঙ্গল, সাগর থেকে শহর, একে একে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে এবং তাঁর হাতকে শক্ত করতেই যোগদান চলছে।

এবার বড়সড় ভাঙন বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গের এই জেলা কমিটির সদস্য অমল সরকার-সহ কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ অতিপরিচিত বিজেপি নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে। বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায়ের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা-স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছেন তাঁরা। জেলার এই পাঁচ হেভিওয়েট বিজেপি নেতার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।

এর আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য তথা দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার অবজার্ভার মণীষ কুমার বানিয়া। মণীষ কুমার বানিয়া রাজ্য যুব মোর্চার প্রাক্তন সম্পাদকও ছিলেন। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার প্রাক্তন অবজার্ভার ছিলেন। ফলে সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গে একের পর এক জেলায় গেরুয়া শিবিরে ফাটল অব্যাহত। যা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য অশনি সংকেত।

প্রসঙ্গত, গতবছর লোকসভা ভোটের ঠিক আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখান নিশীথ প্রামাণিক। কোচবিহার কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়ে জয়ও ছিনিয়ে নেন তিনি।
জেলার ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে গত লোকসভা ভোটের নিরিখে ৭টিতে এগিয়ে বিজেপি, ২টিতে তৃণমূল। খুব স্বাভাবিক ভাবে একুশের নির্বাচনের আগে অঙ্কের বিচারে স্বস্তিতে থাকার কথা বিজেপির।

কিন্তু জেলায় দলে একের পর এক ভাঙন বিধানসভা ভোটের আগে কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্বের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার এই হিড়িকে গেরুয়া শিবিরে জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।

আরও পড়ুন-চ্যানেল চালিয়ে রাখতে দেওয়া হতো টাকা! টিআরপি কারচুপিতে নয়া মোড়

Previous articleচ্যানেল চালিয়ে রাখতে দেওয়া হতো টাকা! টিআরপি কারচুপিতে নয়া মোড়
Next articleদুই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসছেন সৌরভরা