মাইক্রো আর্টে ভারত সেরার তকমা ছেলের, চন্দ্রকোনার রায়বাড়িতে উৎসবের আমেজ

মাইক্রো আর্ট। নাম শুনে নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে খুব ছোট্টো কোনও কারুকাজ। প্রসঙ্গত, একটা সময় ছিল, যখন মানুষ বিশাল দৈত্যাকার সব সামগ্রী, এমন কি শিল্পকর্ম করে নিজেকে বিশ্ববাসীর কাছে প্রতিষ্ঠিত করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে মানুষের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা। আর তাই এখন আর বিশালতার পরিবর্তে এসেছে মাইক্রোর যুগ। ফলে নান্দনিক শিল্পকর্মেও এর ছোঁয়া লেগেছে।

তেমনই এক প্রতিভার খোঁজ মিলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায়। খালি চোখে ধানের ওপর মাইক্রো আর্ট পদ্ধতিতে গুণীজন থেকে শুরু করে মনীষীদের ছবি এঁকে প্রত্যন্ত গ্রামের এক ছেলে হয়ে উঠল ভারত সেরা। একাদশ শ্রেণীর ছাত্র অনিকেত রায়ের নাম এখন জ্বলজ্বল করছে ” ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে “।

মা বাবার একমাত্র সন্তান অনিকেত, ছোটো থেকেই ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসে। তবে ওই যা হয় আর কী। বাবা মায়ের মোটেও তাদের ছেলের ইচ্ছেয় সায় ছিল না। বরং তাঁরা চেয়েছিলেন, ছেলে পড়াশোনা করুক মন দিয়ে। কিন্তু ছেলেও গোঁ ছাড়ার পাত্র নয়। অগত্যা ইচ্ছে না থাকলেও, ছেলের জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হন তাঁরা।

গ্রামের অনুষ্ঠানই হোক, বা বাইরের কোথাও। নিজের এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য সবজায়গাতেই প্রশংসা কুড়িয়েছে অনিকেত। ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু বানিয়ে, সেগুলি প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দিতে চায় সে। ছেলের এই সাফল্যে খুবই খুশি রায় পরিবার। বাবা মা চান, ছেলে মানুষের মত মানুষ হোক।

আরও পড়ুন : সুখবর: কলকাতাতেই ডাক বিভাগে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

তবে অনিকেত প্রথম নয়। মেদিনীপুরের কেশপুরের প্রসেনজিৎ করও নামকরা এক চিত্রশিল্পী। বলা ভালো, মাইক্রো আর্টে এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের অন্যতম পরিচিত একটি নাম। গত বছর, পেন্সিলের শিসে দেশের ক্ষুদ্রতম দুর্গামুর্তি গড়ে ” ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ” নাম তুলে ফেলেছেন প্রসেনজিৎ। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এরপর, একটা দেশলাই কাঠির মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি এঁকে নাম তুলে ফেলেছেন ” গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ” -এও।

Previous articleহাথরাসের পর… গণধর্ষণ করে মা-ছেলেকে বেঁধে ফেলা হলো নদীতে
Next articleইন্টারভিউ ছাড়াই মিলবে সরকারি চাকরি, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের