প্রতিবেশীর মিথ্যা বয়ান, শাস্তির দাবিতে রিয়ার চিঠি সিবিআইকে

সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা বয়ান দিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশী। আর সিবিআই জেরায় তা ভুল প্রমাণ হতেই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ করলেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু-তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআইকে চিঠি লিখে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, মিথ্যা বয়ান দিয়ে তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন ওই প্রতিবেশী। তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে রিয়ার প্রতিবেশী ডিম্পল থাওয়ানি দাবি করেছিলেন, ১৩ জুন রিয়াকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যান সুশান্ত। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে সে কথা জানতে পেরেছেন তিনি। আর তার পরদিনই অভিনেতার মৃত্যু হয়। যদিও রিয়া নিজে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ আগে ৮ জুন তাঁকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেছিলেন সুশান্ত। সেই মতো নিজের বাড়ি ফিরে যান তিনি। তার পর আর দু’জনের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ বা কথা হয়নি। সুশান্তের মৃত্যু হয় ১৪ জুন।

কিন্তু রিয়ার প্রতিবেশীর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি রিয়া মিথ্যা বলেছেন? কিন্তু রবিবারই জানা যায়, সিবিআই এই বিষয়ে জেরা করেছিল মহিলাকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি যেসব দাবি করেছিলেন সেবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গোয়েন্দাদের জেরার মুখে ভেঙে পড়েন ডিম্পল নামের ওই মহিলা। নিজের দাবির পক্ষে তিনি কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেননি। গোয়েন্দাদের জেরার সামনে তিনি জানান, রিয়া ও সুশান্তকে তিনি নিজে ওইদিন আদৌ একসঙ্গে দেখেননি। ১৩ জুন রিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দিতে এসেছিলেন সুশান্ত, এই কথা কে তাঁকে বলেছে জানতে চাইলে সিবিআইকে তার জবাবও দিতে পারেননি মহিলা। সিবিআই বুঝে যায় প্রতিবেশী এই মহিলা রিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার করে সংশয় তৈরি করেছিলেন। বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারের জন্য তাঁকে কড়াভাবে সতর্ক করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

এরপরেই সোমবার সিবিআইকে চিঠি দিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। তিনি লিখেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তদন্ত বিপথে চালিত করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন ওই মহিলা, যা ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ২০৩ (ভুয়ো তথ্য প্রদান) ও ২১১ (কারও ক্ষতিসাধনের উদ্দেশে মিথ্যে অভিযোগ আনা) ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে সাত বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে।

 

Previous articleএবার কারা পেলেন অর্থনীতিতে নোবেল?
Next articleমুক্তি পেলেন লিবিয়ায় অপহৃত সাত ভারতীয়