না জানিয়ে পুজো? কৈলাস-মুকুলদের উপর বেদম চটেছেন দিলীপ

ব্যাপক চটেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে না জানিয়েই বিজেপির পুজো বলে যে নতুন হুজুগ তুলেছে মুকুল শিবির, তাতে ক্ষোভ ঢেকে রাখেননি দিলীপ। তাঁর সাফ কথা, এসব আমার কিছু জানা নেই। আমাকে কিছু বলা হয়নি।

৪৮ ঘন্টা আগেই জানা যায় বিজেপি নাকি এবার সল্টলেক ইজেডসিসিতে পুজো করবে। এই পুজোকে কেন্দ্র করেই বোধনে ভার্চুয়াল বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মুকুল রায়ের শিবিরের দাবি, এটা বিজেপির পুজো হবে। আর দিলীপ ঘোষ তা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, এমন খবর তাঁর কাছে নেই। ফলে বিজেপির এই পরিযায়ী নেতাদের শিবিরের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির বাদানুবাদ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।

দিলীপ বিতর্ক উস্কে বলেছেন, কথা ছিল, একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেখানে বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কোনও পুজো বিজেপি করছেন আমার জানা নেই। আর দিলীপ ঘনিষ্ঠ নেতারা বলছেন, আসলে দলের কিছু লোকের কাজ হচ্ছে, টাকা তোলা আর মোচ্ছব করা। আর এদের নেতা হচ্ছেন কৈলাশ বিজয়বর্গী।

মুকুল শিবিরের দাবি, রাজ্য নেতারা নাকি একটা পুজোর কথা ভেবেছেন। সেটা এই ইজেডসিসি বা ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারের পুজো। কিন্তু দলের তরফে এমন পুজোর কথা দিলীপ উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, পুজো এভাবে হয় না। হঠাৎ ইচ্ছা হলো করলাম আবার ইচ্ছা হলো করলাম না, এসব হয় নাকি! পুজো করার রীতি আছে। সবচেয়ে বড় কথা বিজেপি একটা রাজনৈতিক দল। তারা কেন পুজো করতে যাবে?

দিলীপের বক্তব্যে বিপাকে পড়েছে মুকুল শিবির। তারা চেষ্টা করছে দিলীপ ঘোষকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এই পুজোতে একবার হাজির করে মুখরক্ষা করা। কিন্তু তাতে যে ভবি ভোলার নয় তা স্পষ্ট। জ্বর সারিয়ে দিলীপ ১৯ অক্টোবর সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে ভাবছেন, কথা বলছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন সায়ন্তন বসুকে। নাড্ডার সফরের প্রস্তুতি শিলিগুড়িতে সারছেন সায়ন্তন। কিন্তু পুজোর কথা উঠলেই বিরক্তি সহকারে বলছেন, আমি জানি না, যারা এসব বলছেন তাদের কাছে যান।

পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপির পরিযায়ী নেতাদের মাত্রাছাড়া বাড়াবাড়ি দলের মধ্যেই বিরক্তি, ক্ষোভ বাড়িয়েছে। প্রকাশ্যে বিস্ফোরণ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Previous article‘অভাব আছে’ এমন নতুন পুজোকেও এবার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের
Next articleশেষরক্ষা হয়নি, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ, ভাঙাই হবে মিঠুন চক্রবর্তীর রিসর্ট