দীর্ঘ ৬৭ বছর পর আমেরিকায় প্রথম মৃত্যুদণ্ড হতে চলেছে কোনও মহিলার

৬৭ বছর পর আমেরিকার মাটিতে ফের একবার কোনও অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করল আদালত। ২০০৪ সালে আট মাসের গর্ভবতী মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন ও গর্ভস্থ সন্তানকে চুরির অভিযোগে লিজা মন্টগোমেরি নামের এক মহিলাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম কোনও মহিলার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করল মার্কিন আদালত। আগামী ৮ ডিসেম্বর মারণ ইনজেকশন প্রয়োগ করে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, লিজা মন্টগোমেরি নামের ওই মহিলা বর্তমানে ইন্ডিয়ানার টেরে হাউতে ফেডারেল জেলে বন্দী। জানা গিয়েছে, প্রথম বিবাহে লিজার চার সন্তান ছিল। পরে তিনি সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারান। এরপর ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নেন লিজা। রুদ্ধশ্বাস শিশু চুরির পরিকল্পনা করেন তিনি। ২০০৪ সালে লিজা তার স্বামী ও বন্ধুদের জানান তিনি অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। এরপর বনি জো স্টিনিট নামে এক মহিলার সঙ্গে নাম ভাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ করেন তিনি। কুকুর দেখানোর নাম করে একদিন ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করে লিজা। তার সঙ্গে ছিল প্রসব করানোর নানাবিধ সরঞ্জাম। শ্বাসরোধ করে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে খুনের পর গর্ভের শিশুকে চুরি করার চেষ্টা করে সে। ভয়াবহ এই ঘটনা সেই সময় সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা আমেরিকাতে। দীর্ঘ তদন্তের পর গ্রেফতার করা হয় লিজাকে। সম্প্রতি তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড বিধি অমান্য করে বিতর্কে বিজেপি সাংসদ

যদিও আদালতে লিজার আইনজীবী কেলি হেনরি বলেন, তার মক্কেল মানসিকভাবে অসুস্থ এবং শৈশবে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে। লিজার তরফেও দাবি করা হয় তার সৎ বাবা শৈশবে তার যৌন নির্যাতন করে। নিজের সন্তান ধারণে অক্ষম হওয়ার জেরে এই কাজ করেছে সে। যদিও আদালতে কোনও অনুনয় ধোপে টেকেনি। প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমেরিকায় শেষবার কোনও মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মার্কিন ব্যুরো অফ প্রিজন রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, ওইদিন অপহরণ ও খুনের মামলায় এক মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ৬৭ বছর পর ফের এক মৃত্যুদণ্ড দেখতে চলেছে আমেরিকা।

Previous articleমাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের বয়সসীমা বেঁধে দিল পর্ষদ
Next articleবিদ্যাসাগরের বই বিতরণ করে নজির উত্তর কলকাতার যুবদের