৩০ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের আগুন বউবাজারে, এলআইসি বিল্ডিংয়ে আগুনে জখম ৩

ফের বউবাজারে অগ্নিকাণ্ড। গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের পর এবার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ। শুক্রবারের পর শনিবার রাতে ফের আগুন লাগে বউবাজারের এলআইসি বিল্ডিংয়ে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি তাঁরা। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন : জ্বর নেই-সমস্যা মিটেছে ফুসফুসের, ক্রমশ সুস্থ হচ্ছেন সৌমিত্র

শুক্রবার যেখানে আগুন লেগেছিল, তার উল্টোদিকে ২০০ মিটারের মত দূরে এলআইসি বিল্ডিং। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত ৩টে নাগাদ ২২ নম্বর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে চারতলায় ক্যান্টিনে আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।

ওইসময় ভিতরে ঘুমাচ্ছিলেন ক্যান্টিনের কর্মীরা। বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে তাঁদের। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে তাঁরা চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন জানাতে থাকেন। স্থানীয়রাই ১০০ নম্বর ডায়াল করেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দমকলের ৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রায় আধঘণ্টা আটকে থাকার পর, ফায়ার এক্সিট দিয়ে ঢুকে উদ্ধার করা হয় ভিতরে অাটকে থাকা কর্মীদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এক মহিলা সহ তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। ভোররাতে কীভাবে আগুন লাগল, তা স্পষ্ট নয়। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, ক্যান্টিনের ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিংয়ে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রবিবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে ফরেনসিক দল। সাততলা বাড়িটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন : যুবকের আঁকা স্কেচের সাহায্যে নিষ্পত্তি ঘটনার, সাজাপ্রাপ্ত ২

শুক্রবার রাতের আগুনের আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বউবাজার। রাত সওয়া ১০টা নাগাদ আগুন লাগে ২১ নম্বর গণেশচন্দ্র অ্যাভেনিউয়ের একটি বহুতলে। আগুনের হাত থেকে বাঁচতে ছাদে উঠে গিয়েছিলেন ৪৩টি পরিবার। হুড়োহুড়িতে এক কিশোর ছাদ থেকে পড়ে যায়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বন্ধ শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় আর এক বৃদ্ধার মৃতদেহ। এছাড়াও কম বেশি অগ্নিদগ্ধ হন বেশ কয়েকজন।

আরও পড়ুন : ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে মধ্য কলকাতার বিধ্বংসী আগুন, মৃত ২

প্রশাসনের বারংবার সতর্কতার পরেও হুঁশ ফেরেনি কারোর। দমকল সূত্রে খবর, কলকাতার অধিকাংশ পুরোনো বাড়িতে এখনও আপত্‍কালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার বন্দোবস্ত নেই। গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের যে বাড়িটিতে শুক্রবার রাতে আগুন লেগেছিল, সেখানেও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। আর তাই নিজেরা প্রাণে বাঁচলেও, সর্বস্ব খুইয়ে ফেলেছেন বহু মানুষ।

Previous articleব্যাপক অনুপ্রবেশ, নিজেরাই সীমান্ত পাহারা দিতে কেন্দ্রের অনুমতি চাইলেন সাংসদ
Next articleআজ শহরের রং সবুজ-মেরুন! আই লিগ ট্রফি জয়ের আবেগে ভাসছেন মোহনবাগান সমর্থকরা