নৈশ অভিযানে শহরে কড়া নজরদারি কলকাতা পুলিশের, নিয়মভঙ্গের অভিযোগে আটক ৩১১৫

রাতের শহরকে নিরাপদ করতে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ৷ করোনা পরিস্থিতির আগে রাতে ‘ব্লক রেইড’ চালিয়ে বেশ সাফল্য পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ৷ কিন্তু মাঝে তা কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল৷

ছবি সৌজন্যে : কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ

শনিবার রাতে শহর জুড়ে টহল দিল কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানা ও ট্রাফিক বিভাগ এবং গোয়েন্দা বিভাগ। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সক্রিয় উপস্থিতিতে গাড়ি থামিয়ে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে চলল নাকা তল্লাশি।

আরও পড়ুন : পুজো মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণে নোডাল অফিসার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত লালবাজারের

ছবি সৌজন্যে : কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ

লালবাজার সূত্রে খবর, নৈশ অভিযানে মোট ৩১১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তার মধ্যে বিশৃঙ্খল আচরণ করার অভিযোগে ১০৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, হেলমেটহীন অবস্থায় বাইক চালানোর দায়ে ১০২২ জনকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ৭৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে মোট ২৭৮ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ছবি সৌজন্যে : কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ 

আরও পড়ুন : ৩০ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের আগুন বউবাজারে, এলআইসি বিল্ডিংয়ে আগুনে জখম ৩

বেশ কিছুদিন ধরেই রাতের শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থলে নাকা চেকিং শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। তার ওপর সামনেই পুজোর মরশুম। তাই এই সময়ে নাকা চেকিং বা ব্লক রেইড-এ আরও গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। আর এর সুফলও আছে। পরীক্ষামূলক ভাবে দেখা গিছে নাকা চেকিং বা ব্লক রেইড করে বিভিন্ন সময় রাতের কলকাতার উল্লাস থামানো গেছে। কমেছে দুর্ঘটনার প্রবণতাও।

ছবি সৌজন্যে : কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ

লালবাজারের দুর্ঘটনার হিসাব দেখলেই স্পষ্ট হবে ছুটির দিনের রাতেই শহর ও শহরতলির বিভিন্ন শুনশান রাস্তায় দ্রুত গাড়ির সংখ্যা বাড়তেই বেড়েছে দুর্ঘটনার প্রবণতা। তাই শনিবার ও রবিবার রাতে বিশেষ করে নজর দেওয়া হয় চেকিং এ। করোনা পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল নাকা চেকিং ও ব্লক রেইড। তবে আবার জোরকদমে শুরু হয়েছে ধরপাকড়।

Previous article৬০-৭০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রস্তুত হবে ডিসেম্বরের মধ্যেই, মিলবে মার্চে : সেরাম ইনস্টিটিউট
Next articleমাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের বয়সসীমা বেঁধে দিল পর্ষদ