কোভিড অতিমারীর সম্ভাব্য প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা, তাক লাগালো ১৪ বছরের কিশোরী

করোনার ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সংস্থা ভ্যাকসিনের সন্ধানে লেগে পড়েছে। বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা যখন প্রতিষেধকের খোঁজে, এমত অবস্থায় পথ দেখাল এক চোদ্দো বছরের কিশোরী। ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন কিশোরী, অনীকা শেব্রোলু। এই গবেষণার জন্য ২০২০ ৩এম ” ইয়ং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জ ” পুরস্কার জিতে নিয়েছে অনীকা। নগদ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পেয়েছে সে।

করোনাভাইরাসে উপস্থিত একটি বিশেষ প্রোটিনকে বেঁধে ফেলার জন্য এক নতুন অণু তৈরি করেছে অনীকা। ৩এম চ্যালেঞ্জ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, অনীকার তৈরি এই গুরুত্বপূর্ণ অণু ভাইরাসে থাকা প্রোটিনকে অকেজো করে সংক্রমণ রোধ করে। এই নতুন গ্রহাণুর সন্ধান সে পেয়েছে ইন-সিলিকো মেথডোলজি প্রয়োগ করে। এই প্রোটিনকে আশ্রয় করে কাঁটার মতো আটকে থাকে ভাইরাস।

আরও পড়ুন : কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই শহরে প্রবেশের অনুমতি বিমানযাত্রীদের, পজিটিভে যেতে হবে হাসপাতালে

এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য মিনেসোটার সংস্থা ৩এম আয়োজিত ইয়াং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জ-এর ১০ জন ফাইনালিস্টের তালিকায় স্থান করে নেয় অনীকা। আর্থিক পুরস্কার ছাড়াও এক্সক্লুসিভ ৩এম মেন্টরশিপও লাভ করেছে সে। ফাইনালে পৌঁছে সে ৩এম কর্পোরেট বিজ্ঞানী মেহফুজা আলির তত্ত্বাবধানে কাজ করার সুযোগ পায়। তাঁদের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবে রূপান্তরিত হয় অনীকার তত্ত্ব।

গত বছর প্রবল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয় সে। আর তখন থেকেই সেই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারে উদ্যোগী হয় অনীকা। তখন সে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষক হওয়ার লক্ষ্যে তখন থেকেই তার চর্চা শুরু। তবে তার গবেষণা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বিশ্বে নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। এই কারণে নতুন রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারে নেমে পড়ে কিশোরী।
অনীকা জানিয়েছে, “একটা অণুর মডেল দিয়ে বুঝিয়েছি যে নির্দিষ্ট প্রোটিনের মাধ্যমে কীভাবে এর সঙ্গে আটকে থাকে SARS-CoV-2 ভাইরাসটি। আর এই বন্ধনের জন্য প্রোটিনটি মানবদেহে নিজের কাজ করতে পারে না।” মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার এই কৃতিত্বকে স্যালুট জানিয়েছে বিজ্ঞানী মহল।

Previous articleপাড়ায় পাড়ায়: ঐতিহ্যের বাগবাজার আর চারপাশে
Next articleভোটের প্রচারেই মধ্যেই লালু-পুত্র তেজস্বীর কোলে এসে পড়ল জুতো! তারপর?