নীতিশের নির্বাচনী জনসভায় লালুর নামে জয়ধ্বনি! অস্বস্তিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ দল জেডিইউ-এর শীর্ষ নেতা লালুপ্রসাদ যাদব এখন জেলবন্দি। তারই মাঝে এসে গিয়েছে আরও একটি বিধানসভা নির্বাচন। ফলে বাড়তি একটা অ্যাডভান্টেজ রয়েছে। কিন্তু ভোটের আগে যেন কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। একদিকে বিরোধী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের নির্বাচনী জনসভাগুলিতে ব্যাপক ভিড় চিন্তায় রেখেছে এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা আরজেডি সুপ্রিমো নীতিশ কুমারকে, ঠিক অন্যদিকে তাঁর জনসভায় ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। যার জেরে ভোটপ্রচারে গিয়ে মেজাজ হারালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বক্তৃতা থামিয়ে শ্রোতাদের রীতিমতো ধমকাতে দেখা গেল তাঁকে।

সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্য আজ, বুধবার সরণ জেলার পারসা বিধানসভা ক্ষেত্রের ডেরনিতে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। সেসময় মঞ্চে নীতীশ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের আরজেডি প্রাক্তন নেতা চন্দ্রিকা রাই।

ঘটনা ঠিক কী? যার জন্য মেজাজ হারালেন নীতিশ? ভোট প্রচারে নীতীশ কুমার মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তখন হঠাৎই মঞ্চের উল্টো দিকে জমায়েত করা শ্রোতাদের মধ্যে থেকে স্লোগান ওঠে “লালু জিন্দাবাদ”। প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে যান বিজেপি-আরজেডি জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নীতিশ কুমার। এরপর একাধিকবার এমন স্লোগানে ক্ষেপে যান নীতীশ। এতটাই চোটে যান নীতিশ কুমার যে, মাঝপথেই বক্তৃতা থামিয়ে তিনি সেই স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশে বলেন, “ভাই হাত ওঠান একটু, মাঝে কী যেন বলছিলেন আপনারা?” নীতিশের এমন প্রশ্নের পরই হই-হট্টগোল শুরু হয়। যা দেখে প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে ধমকের সুরে নীতীশ বলেন, “এখানে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করবেন না। যদি ভোট না দিতে চান, দেবেন না। কিন্তু এ ভাবে ঝামেলা করা ঠিক নয়।” কিন্তু তার পরও সমস্বরে ফের লালুর নামে স্লোগান ওঠায় বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান নীতিশ কুমার।

Previous articleমাত্র ৩ টাকায় মাস্ক, সস্তায় এন৯৫-ও! মাস্কের দাম বেঁধে দিল মহারাষ্ট্র সরকার
Next articleগুরুংয়ের সঙ্গে কী বোঝাপড়া হয়েছে রাজ্য জানাক, দাবি অশোকের