জ্যান্ত কালো সাপ পেঁচিয়ে দেবীমূর্তির গলায়, শিলিগুড়িতে দুর্গতিনাশিনী হলেন শিবানী

কিশোর সাহা

ঠিক ছিল মায়ের রূপ হবে প্রতিবারের মতোই দুর্গতিনাশিনী। কিন্তু, কালো রঙের একটা সাপ এলোমেলো করে দিল। তাই মায়ের রূপ হয়ে গেল শিবানী। হ্যাঁ, শিলিগুড়ির মহানন্দা স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপে গেলেই সে ঘটনার কথা শোনা যাবে। শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড় লাগোয়া হিলকার্ট রোডের ধারেই পুজো হচ্ছে মহানন্দা স্পোর্টিংয়ের।

ওই মণ্ডপে গেলেই দেখা যাবে শিবের পত্নী শিবানী রূপে মা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। প্রতিমা যিনি তৈরি করেছেন, সেই মৃৎশিল্পী ভোলানাথ পাল জানান, ‘‘সপ্তাহ দুয়েক আগে যখন প্রতিমার কাঠামো মোটামুটি তৈরি হয়ে গিয়েছে সেই অবধি ঠিক ছিল মায়ের চেহারা প্রথাগত দুর্গতিনাশিনীর মতোই হবে। কিন্তু প্রতিমার অবয়ব চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে হঠাৎ একদিন দেখি মায়ের মূর্তির গলায় কালো রঙের সাপ জড়িয়ে রয়েছে। ছবি তুলতে যেতেই সেটি ধীরে ধীরে নেমে মায়ের শরীর পেঁচিয়ে পিছন দিক দিয়ে মূর্তির ভেতরে ঢুকে যায়।’’ গোটা ঘটনা ক্লাবের সভাপতি সহ সকলকে জানানো হলে তাঁরা আলোচনার পরে জানান, শিবের গলায় যে হেতু সাপ থাকে তাই এবার মায়ের রূপ শিবানীর মতো হওয়ার ইঙ্গিত এটি। তারপরে মূর্তির অবয়ব শিবানীর মতো করা হয় বলে জানান তিনি।

শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীর সেতুর ধারেই ভোলা পালের স্টুডিও। তিনি ছোটবেলা থেকেই মূর্তি ও নানা ধরনের ভাস্কর্যের কাজ করেন। ভোলানাথবাবুর তৈরি নানা মূর্তি রয়েছে শিলিগুড়ি শহরে। তবে পুজোর প্রতিমা তৈরির ব্যাপারে তিনি খুঁতখুঁতে। কেউ বরাত দিলেই বানাবেন তা নয়। তাঁর পছন্দসই হলেই তবে প্রতিমা বানান। ভোলানাথবাবু মনে করেন, এবার মা শিবানীর রূপে এসে করোনা আবহের দ্রুত অবসানের বার্তা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:সাগর দত্ত ঠাকুর বাড়িতে মা পূজিত হন ‘অভয়ারূপে’

 

Previous article“ভারত ‘ফিলথি’, বাতাসও নোংরা”, বন্ধু মোদির দেশকে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
Next articleসংক্রমণের আশঙ্কায় ‘হাই অ্যালার্ট’ সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে