‘মোদি পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রণাম করেন, কিন্তু সাহায্য নয়’, বিহারে সরব রাহুল

আগামী সপ্তাহেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার একই দিনে বিহারে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধী। এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ চালাতে দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। করোনাভাইরাস, লকডাউন, চিনা আগ্রাসন ও পরিযায়ী শ্রমিক, রাহুলের ভাষণে এদিন উঠে এল সমস্ত ইস্যু।

আরজেডি সঙ্গে জোট বেধে এবার বিহারে নির্বাচন লড়ছে কংগ্রেস। ফলে নওয়াদায় নির্বাচনী প্রচারে একই মঞ্চে রাহুলের সঙ্গে দেখা গেল আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদবকে। নরেন্দ্র মোদিকে চিন ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘মোদীজি বলেছেন উনি বিহারের সৈনিকদের কাছে মাথা নত করেন। গোটা দেশই শহিদের সামনে মাথা নত করে, কিন্তু প্রশ্ন এটা নয়। প্রশ্ন এটাই, যখন বিহারের সৈনিক সীমান্তে শহিদ হলেন তখন মোদি কি বলেছেন এবং কি করেছেন।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলেছেন। ওনার বক্তব্য ছিল চিন আমাদের দেশে প্রবেশ করেনি। কিন্তু সেনা মৃত্যুর সময় প্রধানমন্ত্রী কোথায় ছিলেন?’

পাশাপাশি পরিযায়ী সমস্যা প্রসঙ্গেও সরব হন রাহুল। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস লকডাউন লক্ষ শ্রমিককে কাজ ও ঘর ছেড়ে রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেছে। রাহুলের কথায়, ‘উনি বলেন, উনি শ্রমিকদের সামনে মাথা নত করেন। কিন্তু বাস্তবে যখন ওনার প্রয়োজন পড়ে তখনই কিছুই করেন না। আপনারা হাজার কিলোমিটার খিদে পিপাসায় কষ্ট পেয়ে পায়ে হেঁটেছেন। কিন্তু মোদীজি আপনাদের ট্রেন দেননি। সরকারের বক্তব্য ছিল তুমি মারা যাও, আমরা তোমার পরোয়া করি না।’ এর পাশাপাশি রাহুল আরও জানান, ‘বাস্তবটা এটাই। বিহারবাসী অবশেষে সেই বাস্তবটা বুঝতে পেরেছেন। বিহারের নীতীশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদিকে তারা উচিত জবাব দেবেন।’

আরও পড়ুন: র-এর প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওলির গোপন বৈঠক ঘিরে চাঞ্চল্য

রাহুলের পাশাপাশি এদিন মোদির বিরুদ্ধে সরব হন আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদবও। সভামঞ্চে মোদিকে উদ্দেশ্য করে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘পাঁচ বছর আগে বিহারকে যে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আপনি দিয়েছিলেন সেটির কি হলো?’ পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নিজেদের ইস্তেহার পত্র যে ১০ লক্ষ যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন তা পূরণ করবেনই। পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতেও যাদব বলেন, বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন বিভিন্ন রাজ্য থেকে পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরছেন। সেই দৃশ্য দেখে সাহায্যের পরিবর্তে নিজেকে ঘরবন্দি করে নিয়েছিলেন নীতিশ কুমার। পাশাপাশি তাঁর দাবি, আগামী ৯ নভেম্বর লালু জি ছাড়া পাবেন। ওইদিন আমার জন্মদিনও। আর ১০ তারিখ নীতিশজির বিদায় হবে।

Previous articleতোলাবাজি, গোষ্ঠীবাজি, দলবদলুদের দাপট, পুজোর আগেই যুব মোর্চা ভাঙতে চেয়েছিলেন দিলীপ
Next articleভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সিটি সেন্টার মলে, সরানো হয়েছে ৩৫০০ জনকে