মৃত ব্যক্তির ফুসফুস পরিণত হয়েছে চামড়ার বলে, অটোপ্সি রিপোর্ট ঘুম উড়িয়েছে চিকিৎসকদের

করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির অটোপ্সি রিপোর্ট এল প্রকাশ্যে। যা রীতিমত ভয়ানক বললেও কম বলা হবে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তির ফুসফুসটি চামড়ার বলের মতো শক্ত হয়ে গিয়েছে।অর্থাৎ, করোনার থাবায় শরীরের অভ্যন্তরণীণ একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন ঝাঁজরা হয়ে গেছে, তেমনই ফুসফুসেও নেমে এসেছে করাল থাবা।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই প্রথম কর্ণাটকে কোনও করোনা রোগীর ময়নাতদন্ত হল। কর্ণাটকের ওই বাসিন্দা, ৬২ বছরের এক বৃদ্ধের ময়নাতদন্ত করেছেন অক্সফোর্ড মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ড. দীনেশ রাও। ড. রাও জানান, ‘‘কোভিড আক্রান্তদের শরীরে ময়নাতদন্ত করলে রোগের অগ্রগতির বিষয়ে বুঝতে সুবিধা হয়।’’

আরও পড়ুন : উড়ানের মধ্যেই মৃত্যু করোনা সংক্রমিত মহিলার, যাত্রী নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন

সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর ১৮ ঘন্টা পরে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর ১৮ ঘণ্টার পরেও দেহে মিলেছে মারণ ভাইরাসের অস্তিত্ব। দেখা গেছে, করোনার কারণে তাঁর ফুসফুস কার্যত চামড়ার বলের মতো শক্ত হয়ে গেছে। যা দেখে স্তম্ভিত চিকিৎসকরা। শিরা-উপশিরাগুলিতে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। ধমনী ফেটে রক্তক্ষরণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেখা গিয়েছে মৃতের নাসারন্ধ্র ও গলা থেকে সংগৃহীত নমুনার ভিতরে রয়ে গিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিহ্ন।

অটোপ্সির পর চিকিৎসক ড. দীনেশ রাও জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির ফুসফুসের বায়ুথলি ফেটে গিয়েছিল। জমাট বেঁধে গিয়েছিল রক্তনালীগুলি। কিন্তু তাঁর ত্বকে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। চিকিৎসকের আশঙ্কা, করোনায় মৃত ব্যক্তিও জীবিত ব্যক্তির মতোই সংক্রামক হতে পারে।

আরও পড়ুন : ভুল নাকি ইচ্ছাকৃত সীমান্ত পার! লাদাখে আটক চিনা সেনাকে নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে গলা এবং মুখ, ফুসফুসের পৃষ্ঠ, শ্বাস প্রশ্বাসের প্যাসেজ, ঘাড়ে এবং ত্বকের ওপরেই সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে। তাই ময়নাতদন্তে ওই সমস্ত জায়গার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়।

গত ১০ অক্টোবর ওই ময়নাতদন্ত করেন তিনি। সময় লেগেছিল ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ড. রাও জানিয়েছেন, ‘‘আমেরিকা ও ইটালিতে কোভিড রোগীদের ময়নাতদন্তে যা দেখা গিয়েছে আমার পর্যবেক্ষণ তার থেকে আলাদা। যা থেকে প্রমাণ হয়, ভারতে এই ভাইরাসের চরিত্র আলাদা।’’

Previous articleদিলীপ ঘোষকে অপমান করলেন মুকুলের ছায়াসঙ্গী!
Next articleপ্রিয়-জন নেই, প্রিয়-পুজোও নেই বলে বিষণ্ণ উত্তরবঙ্গ