সব বিদ্রোহের ইতি, সকালেই দিলীপের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন সৌমিত্র

সব বিদ্রোহের ইতি। একাদশীর সকালে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে প্রণাম সেরে ক্ষমা চেয়ে নিলেন সৌমিত্র খাঁ। বললেন ভুল বুঝবেন না। আমি এমন কিছু করতে চাইনি যাতে দলের ক্ষতি হয়। দিলীপের সহাস্য মন্তব্য, ভাল করে সংগঠন করতে হবে। লেগে পড়ো।

দিন চারেক আগে, বিজেপি যুব মোর্চার সব কটি জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বেসরকারিভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পদত্যাগ করেন। অভিযোগ তিনি কিছুই জানেন না। গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘন্টা চারেকের মধ্যে ফিরে আসেন। ভাবভঙ্গি এমন যেন কোনও কিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে না জেনে ফিরেছেন। কিন্তু সৌমিত্র ঘনিষ্ঠ মহলে বলতে শুরু করেন, তিনি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একা বসবেন না, বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে থাকতে হবে। লক্ষ্য যে কৈলাশ-মুকুল তা সকলে বুঝেছেন। সৌমিত্রর এই মন্তব্যে বেজায় চটেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব, দিল্লিও। মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দেন সৌমিত্রকে।

সৌমিত্র দলের হাল-হকিকৎ দেখে বুঝতে পারেন, ভুল চাল চেলে ফেলেছেন। যাঁরা তাঁকে পিছন থেকে ওস্কাচ্ছিলেন, তারা সুযোগ নিচ্ছিলেন তাঁকে ঘুটি করে। তাই দ্রুত সম্পর্ক মেরামত করতে বিজয়া দশমীর পরের দিনকেই বেছে নিলেন।

মঙ্গলবার কাকপক্ষীতে যাতে টের না পায়, তেমনভাবেই সৌমিত্র দিলীপ ঘোষের বাড়িতে সকাল ৮টার মধ্যে পৌঁছে যান। দেখা হতে প্রথমেই দিলীপ ঘোষকে পেন্নাম। তারপর বললেন, তাঁকে যেন ভুল বোঝা না হয়। দলের ক্ষতি করতে চাইনি। দিলীপদার নির্দেশ শিরোধার্য। পাল্টা দিলীপ বলেন, এসব কথা দলের মধ্যেই বলা উচিত ছিল। কারা এসব হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ চ্যাট দিচ্ছে সংবাদ মাধ্যমকে? দলের শৃঙখলা মানতে হবে। দলের হায়ার আর্কিও মানতে হবে। যে ক’টি জেলায় গণ্ডগোল হচ্ছে, তা কয়েক দিনের মধ্যেই মেটানো হবে। সৌমিত্রও থাকবেন।

সৌমিত্রকে মিষ্টিমুখ করিয়ে দিলীপের সহাস্য মন্তব্য, চলো নেমে পড়ো। এ লড়াইয়ে জিততে হবে। যুব মোর্চার এই লড়াইয়ে বড় ভূমিকা থাকবে।

আরও পড়ুন-পুজো মিটতেই ঠান্ডার আমেজ, কড়া শীতের অপেক্ষায় রাজ্য

Previous articleচাঁদের বুকে জলের হদিশ, গবেষণায় দাবি নাসার
Next articleঅস্ট্রেলিয়া সফরের ভারতীয় দলে নেই রোহিত ও ইশান্ত, চমক লোকেশ রাহুল