তৃণমূলের মোকাবিলা করার মতো সংগঠন আদৌ আছে? বঙ্গ বিজেপিকে প্রশ্ন অমিতের: সূত্র

তিনি এখন ভোটের বিহারে যাননি। কিন্তু ভোটের আগেই উত্তাপ বাড়াতে বঙ্গে এলেন। যা এ রাজ্যের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ। দু’দিনের সফরে ইতিমধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার প্রথমদিন বাঁকুড়া পৌঁছে একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লক্ষ্য, একুশে বাংলা দখল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে কাজটি যে সহজ নয়, সেটা ভালোই বোঝেন বিজেপির সেকেন্ড ইন কমান্ড। তাই সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সফর বাতিল করে স্বয়ং বাংলায় ছুটে এসেছেন স্বয়ং অমিত শাহ।

এদিন বাঁকুড়া রবীন্দ্র ভবনে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার লক্ষ্যে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। বিধানসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করা। তবে সে কথা জানা সত্ত্বেও আদৌ স্বস্তিতে নেই বঙ্গ-বিজেপির নেতারা! তাঁরা বুঝেছেন, বিধানসভা ভোটের মাস পাঁচেক আগে রাজ্যে এসে একাধিক সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় নেতাদের ‘পারফরম্যান্সের’ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন অমিত। কিছুটা “ভয়”-এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের তাবড় নেতারা। কারণ, অমিত শাহ যে রীতিমতো ‘ক্লাস’ নেবেন, ‘পড়া ধরবেন’ দু’দিন ধরে!

সাংগঠনিক বৈঠকে ঠিক কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে?

দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী যে বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে সাংগঠনিক বৈঠকে–

(১) কতগুলো বুথে কমিটি তৈরি হয়েছে?

(২) কেন সব বুথে এখনও কমিটি করা সম্ভব হয়নি?

(৩) রাজ্যে বিজেপির সদস্যসংখ্যা কত?

(৪) নতুন সদস্যদের দলীয় কর্মসূচিতে টানতে কী কী উদ্যোগ হয়েছে?

(৫) সমাজের বিশিষ্টদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া কত দূর এগিয়েছে?

(৬) বিধানসভা ভোটের ৬ মাস আগেও কেন বঙ্গ-বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা সাম্প্রতিক কালে প্রকট হচ্ছে?

(৭) কেন দলীয় অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে আসছে?

(৮) বাংলার গ্রামেগঞ্জে দলের সংগঠন ঠিক কী অবস্থায় আছে

(৯) আদৌ এই সংগঠনের নিয়ে ২০২১-এর নির্বাচনী বৈতরণী পার করা যাবে, তৃণমূলের মোকাবিলা সম্ভব?

(১০) রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ইস্যু করে রাস্তায় নেমে জোরালো আন্দোলন কি আদৌ হচ্ছে? ইত্যাদি।

আরও পড়ুন : দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসছে বিজেপি, বাঁকুড়ায় ঘোষণা অমিত শাহের

আরও পড়ুন : ভাত, ডাল, পোস্ত, চাটনিতে অমিত আপ্যায়নের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে আদিবাসী বাড়িতে


অমিত শাহের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রাজ্য নেতাদের। এই বৈঠকের উপর নির্ভর করেই বঙ্গ-সফরের পরই দিল্লিতে চূ়ড়ান্ত হবে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের চূড়ান্ত রূপরেখা। যদি তিনি বোঝেন, এই সংগঠন দিয়ে তৃণমূলের মোকাবিলা করা যাবে না, সে ক্ষেত্রে হয়তো তিনি প্ল্যান বি’র কথা ভাববেন। মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Previous article‘ফালতু কথা বলছেন’! CAA ইস্যুতে প্রকাশ্য সভায় যোগীর দাবি খারিজ নীতীশের
Next articleঅমিত সফর: নাটক করতে এসে দিবাস্বপ্ন দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কটাক্ষ তৃণমূলের