কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ বলিউডের

এক অধ্যায়ের শেষ। ৪০ দিনের লড়াই শেষ করে চলে গেলেন ‘ফেলুদা’। শোকপ্রকাশ বলিউডের।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আপামর বাঙালির পাশাপাশি, মন ভারাক্রান্ত বলিউডেরও। এবছর বলিউড হারিয়েছে বেশ কিছু নামি দামী অভিনেতাকে। ঋষি কাপুর, ইরফান খান, ওয়াজিদ খান, এস পি বালাসুব্রহমনিয়ম, সরোজ খান, নিশিকান্ত কামাত, সুশান্ত সিং রাজপুত….. তালিকাটা অনেক অনেক লম্বা। কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতা আসিফ বসরার। সেই ক্ষতটা যেন আরও একটু বাড়ল এদিন।

আরও পড়ুন : স্মরণে-শ্রদ্ধায়-চোখের জলে শেষবিদায় কিংবদন্তিকে

কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে বলিউড। বলিউড অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী লিখেছেন, বিরাট ক্ষতি। স্যর আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি। ভারতীয় সিনেমা জগতে আপনার অবদান চিরকাল অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর আপনি প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।

পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকার লেখেন, পদ্মভূষণ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। কম কথা বললেও ওঁনার গলায় সবসময় পাওয়া যেত কাছে টানার অনুভূতি। বরাবর অনুপ্রেরণা জোগাতেন, উৎসাহ দিতেন। ওঁনার পরিবার ও অনুরাগীদের জন্য সমবেদনা রইল।

কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রণদীপ হুডা। টুইট করে তিনি লিখেছেন, এক অধ্যায়ের শেষ। অভিনেতার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তিনি।

সারা জীবনে ২১০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার মধ্যে অধিকাংশই বাংলা ছবি। তবে দুটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় ও একটি ছবিতে পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে পরিচালক বিজয় চট্টোপাধ্যায়ের ছবি “নিরুপমা”য় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয়। ২০০২ সালে প্রশান্ত বালের ছবি “হিন্দুস্তানি সিপাহি”। পাশাপাশি, ১৯৮৬ সালে “স্ত্রী কা পত্র” ছবি পরিচালনা করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

Previous articleএবার কলকাতায় দেখা গেলো শুভেন্দু-র ছবি দেওয়া ‘দাদার অনুগামী’-র ফ্লেক্স
Next articleবিদায় নিলেন বাংলা সিনেমার আভিজাত্য, শোকস্তব্ধ টলিপাড়া