মিহির গোস্বামীর বাড়িতে হঠাৎ কংগ্রেসের দেবপ্রসাদ, দীর্ঘ বৈঠক, জেলায় নতুন গুঞ্জন

প্রথমে মিহির গোস্বামী, তারপর জগদীশ বসুনিয়া৷

কোচবিহারের একাধিক তৃণমূল বিধায়ক খোলাখুলিভাবেই জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন৷ ফলে কোচবিহার নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল।

আরও পড়ুন : জেলা পার্টির একাংশের তীব্র বিরোধিতা, ডিসেম্বরে গড়বেতায় সুশান্তর রাজকীয় প্রবেশ

এদিকে তৃণমূলের এই ঘোলা জলে মাছ ধরার অভিপ্রায়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি, কংগ্রেস৷ দিনকয়েক আগে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক মিহিরবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘসময় আলোচনা হয়।
আর এবার মিহিরের কাছে গেলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দেবপ্রসাদ রায়৷ দু’জনের সম্পর্ক নাকি খুবই ভালো৷ আলাদা দল করলেও দু’জনের মধ্যে বরাবর যোগাযোগ ছিল। তবে এ দিনের সাক্ষাতে নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে জেলায়। রুটিনমাফিক মিহির গোস্বামী এবং দেবপ্রসাদ রায় বলেছেন,”এটা নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। রাজনীতি নেই।”

বিধায়ক মিহির গোস্বামীর পরে গত মঙ্গলবার সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া জেলা নেতৃত্বকে তোপ দেগে ‘গরম’ মন্তব্য করেন। তাঁর মূল অভিযোগ, ২০১৯ সালে বিজেপির হয়ে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরাই এখন জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা।

ওদিকে, কোচবিহার তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া কী বলেছেন জানি না। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের নানা ব্যাখ্যা হয়েছে। ওটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। আবেগবশত কে কী বলেছেন তা নিয়ে দলীয় পর্যায়ে আলোচনা হবে।”

আরও পড়ুন : শুভেন্দুর সভাস্থলের কাছেই মমতা-অভিষেকের ছবির তোরন, কৌতূহল বাড়ছে

মিহির গোস্বামী প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বলেছেন, “মিহিরবাবু দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তবে নেত্রী আমাদের কাছে আবেগ। তাঁর সম্পর্কে কেউ বিরূপ মন্তব্য করলে নিশ্চিত ভাবে প্রতিবাদ হবে।”

ওদিকে, মিহির গোস্বামী বলেছেন, “আমি যা বলেছি, যে কোনও আত্মসম্মানরক্ষাকারী মানুষ সে কথা বলবেন। আমি এখন পর্যন্ত এমন কোনও মন্তব্য করিনি, যা অন্যকে অসম্মান করবে। এটুকু জানি, মানুষকে সম্মান না করলে নিজের সম্মান থাকে না। অপরিণত রাজনৈতিক কর্মীরা যদি সংগঠন পরিচালনা করে, তাহলে সেই সংগঠনের সুস্থতা থাকে না বলে আমি মনে করি।”

Previous articleবিজেপির ডাকা বনধ ঘিরে সংঘর্ষ-রক্তপাত তুফানগঞ্জে
Next articleমনোবিদের দৌলতে খোশমেজাজে লাল-হলুদের ফুটবলাররা