জেলা পার্টির একাংশের তীব্র বিরোধিতা, ডিসেম্বরে গড়বেতায় সুশান্তর রাজকীয় প্রবেশ

গড়বেতায় ঢুকবেন সুশান্ত। আর সে নিয়ে তৃণমূলের প্রবল টেনশন। মুখে বলা হচ্ছে কে সুশান্ত? আর কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অস্তিত্ব প্রমাণে গড়বেতা জুড়ে জোড়া ফুলের পতাকায় ছেয়ে ফেলা হয়েছে। আর সিপিএম হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে এখন হাত কামড়াচ্ছে। অথচ ভোটের মুখে তিনিই হতে পারেন পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের তুরূপের তাস।

সুশান্ত ঘোষ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কঙ্কাল কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে জেল। তারপর মুক্তি। কিন্তু নিজের গড় গড়বেতায় প্রবেশের অনুমতি নেই প্রায় এক দশক! এর সঙ্গে দলীয় উপেক্ষা। বই লেখা। দলের সমালোচনা, সাসপেনশন এবং অভিমান।

অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সুশান্ত নিজের গড়ে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন। কোর্টের অর্ডার নিয়ে কলকাতায় কিছু জরুরি কাজ সেরে দ্রুতই চন্দ্রকোনা রোডের বাড়িতে যাবেন। এলাকার সিপিএম নেতা তপন ঘোষ বা দিবাকর ভুঁইয়া সুশান্তর গড়বেতায় আসা নিয়ে উত্তেজিত। তাঁরা অপেক্ষায়, আবার দলকে নেতৃত্ব দেবেন কমরেড সুশান্ত। কিন্তু জেলা পার্টি সুশান্তর আশা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। সমানে একটি অংশ সুশান্তুকে সেন্সর করার খেলায় মেতেছে। ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ফেসবুক পেজে একটিও শব্দ নেই সুশান্তকে নিয়ে। তার এই জয়ে নেই উচ্ছ্বাস। অথচ আম বাম্পন্থীদের উচ্ছ্বাসে ফেসবুক ভারাক্রান্ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাসপেনশন মানে তো দলের বাইরে নয়! তাহলে স্বাগত জানাতে এত কুণ্ঠা কেন? তিনি সরাসরি দলের একাংশের অন্ধ সুশান্ত বিরোধিতার কথা তুলে ধরেন। সাফ জানান, কমরেড সুশান্ত জনপ্রিয়। তাঁকেই এই মুহূর্তে পার্টিতে দরকার। এই সব টম-ডিক-হ্যারির দল পার্টিটাকে তুলে দেওয়ার ধান্দায় আছে। আর রাজ্য নেতা, সম্পাদক বাস্তবটাকে না বুঝে তত্ত্ব কথা আউড়ে চলেছেন।

আরও পড়ুন:করোনার তৃতীয় ঢেউ দিল্লিতে! সর্বদল বৈঠকের ডাক কেজরিওয়ালের

দলীয় সাসপেনশনে মন ভেঙেছে সুশান্তর। কিন্তু সাসপেনশন উঠেছে? দলীয় সূত্রে খবর আগামী ৪ ডিসেম্বর তাঁর সাসপেনশন শেষ হচ্ছে। পার্টি অফিস থেকে দলীয় অনুমতি নিয়েই তারপরই গড়বেতায় ফিরবেন। আর সেদিন গোটা চন্দ্রকোণা রোড লাল পতাকায় মুড়ে ফেলতে চাইছেন সুশান্ত অনুরাগীরা। দলীয় কোন্দল ডিঙিয়ে তাঁরা রাস্তায় নামবেন। বলছেন, হাসপাতালের আইসিইউ বেড থেকে যে লোকটাকে প্রশাসন তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারপরেও কোনও স্বীকারোক্তি বের করতে পারেনি, তার পিছনে থাকব না তো কার সঙ্গে থাকব!

Previous articleকরোনার তৃতীয় ঢেউ দিল্লিতে! সর্বদল বৈঠকের ডাক কেজরিওয়ালের
Next articleআদালত অবমাননা না করে ছটপুজো পালন করুন, আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর