রাজ্যের সমস্ত মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড চালু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে।
তবে অন্য কোনও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় থাকলে এই সুবিধে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আছেন৷ রাজ্যের আরও আড়াই কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকেই স্বাস্থ্য সাথীর স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে৷
স্বাস্থ্য সাথীর স্মার্ট কার্ড দেখালে বেসরকারি হাসপাতালেও ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে৷
প্রতি বছর পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে৷
স্মার্ট কার্ডের মধ্যে পরিবারের প্রত্যেকের নাম থাকবে৷ ১ ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রায় দেড় হাজার হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় নথিভুক্ত আছে৷
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পরিষেবা দিতে প্রতি বছর রাজ্যের ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে৷ তিনি বলেন, ‘এই পরিষেবা আমাদের রাজ্যে সামাজিক সুরক্ষায় নতুন মুকুট যুক্ত করল৷ সরকার যখন দু’ মাস ধরে দুয়ারে দুয়ারে ক্যাম্প করবে তখন একদিন গিয়ে নাম লিখিয়ে আসুন৷ যেদিন কার্ড নিয়ে আসতে বলবে গিয়ে নিয়ে আসবেন৷’ সমাজের সর্বস্তরের মানুষই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধে পাবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প গোটা বিশ্বেই নজির সৃষ্টি করেছে।