উত্তরবঙ্গে ভাল ফলের আশা যেন না করে গেরুয়া শিবির, ঘোষণা গুরুংপন্থী মোর্চা নেতার

“একুশের ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে অন্তত ১৫-১৬টি আসন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে আমরা তৈরি।”

বিমল গুরুংপন্থী মোর্চা নেতা বিশাল ছেত্রী এ কথা জানিয়ে বলেছেন, “বিজেপি শুধুই পাহাড়বাসীকে ব্যবহার করেছে। দেরিতে হলেও তা আমরা বুঝেছি। এবার আর ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। উত্তরবঙ্গে ভাল ফলের আশা যেন না করে গেরুয়া শিবির।”

কনকনে শীতেও পাহাড়ের রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা পাহাড়ে পা রাখলেই ওই উত্তাপ শত গুন বেড়ে যাবে৷
এদিকে মোর্চা ঘোষণা করেছে, পাহাড়ে ওঠার আগে শিলিগুড়িতে বড় জনসভা করবেন একসময়ের অঘোষিত সম্রাট বিমল গুরুং। বিমলপন্থী মোর্চা নেতা বিশাল ছেত্রী এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এই সভায় যোগ দেবেন পাহাড় ও সমতলের গুরুং অনুগামীরা। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে হবে এই সভা। এই সভা নিশ্চিতভাবেই শক্তি প্রদর্শনের সভা। এই সমাবেশ থেকেই নয়া রণনীতি ঘোষণা করবেন গুরুং।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-র মাঝামাঝি থেকে পাহাড় ছাড়া গুরুং। এ বছরের দুর্গাপুজোর আগে আচমকাই বিমল গুরুংয়ের আত্মপ্রকাশ কলকাতায়। সেদিনই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। জানান তৃণমূলের সঙ্গে হাত ধরার কথা। তারপর থেকেই পাহাড়ে ফিরতে উদগ্রীব গুরুং। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একাধিক রাষ্ট্রদোহিতার মামলা। মামলা থেকে মুক্তি পেলেই ফিরবেন। ঘোষণা তাঁর ঘনিষ্ঠদের। তবে দলের সুপ্রিমো না ফিরলেও অনুগামীরা নেমে পড়েছেন হারানো জমি ফেরাতে৷ প্রচার চলছে পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স এলাকায়। প্রতিদিনই বৈঠক করছেন। বিশাল ছেত্রীর দাবী, পাহাড়ে বিমলের বাসস্থান সমস্যাও মিটে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই পাহাড়ে ফিরবেন গুরুং৷

আরও পড়ুন:সকাল থেকেই রাস্তায় বনধ সমর্থকরা, শহর-জেলায় বিক্ষিপ্ত অবরোধ

ওদিকে বিমল গুরুং ফিরলেই পাহাড়ে ফের অশান্তি শুরু হবে বলে প্রচার চালাচ্ছেন বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। এই দাবিতে মিছিলও হচ্ছে করে পাহাড়জুড়ে। এর উত্তরে বিমলপন্থীরা বলেছে, আসলে ওরা ভেড়া। জঙ্গলের বাঘ জঙ্গলে ফিরে আসছে। তাই ওরা ভয় পাচ্ছে। কোনও অশান্তি ছড়াবে না।

Previous articleসকাল থেকেই রাস্তায় বনধ সমর্থকরা, শহর-জেলায় বিক্ষিপ্ত অবরোধ
Next articleপাহাড়ে ওঠার আগে শিলিগুড়িতে সভা করার প্রস্তুতি গুরুং বাহিনীর