পড়ুয়াদের ইংরেজি শেখাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, সমীক্ষার রিপোর্ট

রাজ্য প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ইংরেজি শিক্ষার হার শোচনীয়। একাধিক রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সেই তথ্য। এহেন পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হল কলকাতায় সরকারের অধীনে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ইংরেজি শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। সম্প্রতি এমন রিপোর্ট প্রকাশ এনেছে সমীক্ষক সংস্থা প্রতীচী ট্রাস্ট। কলকাতার সমস্ত প্রাথমিক স্কুলগুলিতে সমীক্ষা চালানোর পর তাদের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি স্কুলগুলিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরী, একইসঙ্গে পড়ুয়াদের স্বার্থে তাদের আরও বেশি সময় স্কুলে রাখা ও অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কলকাতায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে ৫৯ টি স্কুল, পুরসভার অধীনে থাকা ৫ টি স্কুল এবং ৫টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে সমীক্ষা চালিয়ে সমীক্ষকরা কথা বলেন ৮০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা ও ৩১৮ জন অভিভাবকের সঙ্গে। এরপর যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় সেখানে দাবি করা হয়েছে, স্কুলে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা চান তাদের সন্তান ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। কিছু শিক্ষক অবশ্য স্কুলে যথেষ্ট আগ্রহের সঙ্গে চেষ্টা চালাচ্ছেন তবে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের এ বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। পাশাপাশি সমীক্ষার দাবি শহরে শিক্ষা সংসদের অধীনে থাকা প্রায় ৪১ শতাংশ শ্রেণিকক্ষের অবস্থা ভালো। তবে বহু স্কুলে শ্রেণিকক্ষের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। কোথাও বারান্দায় বসে ক্লাস হয় তো কোথাও একটিমাত্র ঘরে চলে পঠন-পাঠনের কাজ। শৌচাগারের হালও অত্যন্ত শোচনীয়। কোথাও পড়ুয়াদের অনুপাতে শৌচাগার কম কোথাও আবার মেরামতি ও পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:‘রাম সেতু’ নিয়ে অক্ষয়ের সঙ্গে আলোচনায় যোগী, বৈঠক হবে ফিল্ম সিটি তৈরি নিয়েও

সমীক্ষায় আরও জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের আরও বেশি সময় স্কুলে রাখাটা প্রয়োজন। বেশিরভাগ শিক্ষকের জন্য ‘ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম’ দরকার। শিশু-মনস্তত্ত্ব, শিশুর আচরণ বিষয়ে শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আলোচনামূলক অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা উচিত। ওই সমস্ত স্কুলগুলিতে মূলত পড়ে দিনমজুর, আনাজ বিক্রেতা, রিকশাচালকদের সন্তানেরা। বাড়িতে নানারকম সমস্যা রয়েছে তাদের। তাই পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক বাড়াতে তাদের আরো বেশি সময় স্কুলে রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজন রয়েছে খেলাধুলো ও সৃজনমূলক কাজে উৎসাহ দেওয়ার। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের বাড়িতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিত যাওয়াটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত পড়ুয়াদের বাড়ি গেলে তাদের দিকে যথাযথ নজর রাখার কাজটা সহজেই হয়ে যায়।

Previous articleহারের কারণ হিসাবে ভারতীয় ফুটবলারদের কাঠগড়ায় তুললেন ইস্টবেঙ্গল কোচ ফাউলার
Next article“বিরাট” রেকর্ড! পিছনে ফেলে দিলেন সচিন তেন্ডুলকারকে