তৃণমূলের কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া, ‘সরকার মানুষের উঠোনে ছিল, এখন দুয়ারে’, বললেন মহুয়া

তৃণমূলের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে কাল পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এসেছেন। তাঁদের অসুবিধের কথা জানাচ্ছেন। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলছে জেলাগুলিতে। পাখির চোখ ২০২১-এর বিধানসভা ভোট। আর এই কারণেই জনসংযোগ বাড়াতে আরও একধাপ এগোলো রাজ্যের শাসক দল। এদিন ‘দুয়ারে সরকার’-এর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কাছ থেকে। বলেছেন, ‘এতদিন সরকার মানুষের উঠোনে ছিল, এখন দুয়ারে চলে এসেছে।’

রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু মহারাষ্ট্র, অন্ধপ্রদেশের মতো অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলির থেকে বাংলা ভালো করেছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে সরকার।’ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। নদিয়ার বিভিন্ন ব্লকে ক্যাম্পের সামনে দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন। জেলার সব জায়গায় কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।’দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শুক্রবার শান্তিপুরের বেলঘড়িয়া কনভার্ট বেসিক প্রাইমারি স্কুলের শিবিরে যান নদিয়ার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ।

উল্লেখ্য, বুধবার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, বিডিও, এসডি-সহ সাড়ে চারশোজন সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘দুয়ারে সরকারের’ ক্যাম্পে এসে কোনও মানুষ যেন খালি হাতে ফিরে না যান, হয়রানির শিকার না হয়। সকলকেই প্রয়োজনমতো পরিষেবা দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়েই সাধারণ মানুষের উৎসাহ সবচেয়ে বেশি। এই প্রকল্পের কার্ডটি আবার বায়োমেট্রিক। সেক্ষেত্রে কেউ যদি প্রয়োজনীয় ফর্ম ফিলাপ করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধকারিককেই ফর্ম ফিলাপ করে সাহায্য করতে হবে। প্রতিদিন রাজ্য জুড়ে ৫ হাজার ক্যাম্প অফিস চলছে। এক একটি ক্যাম্পে থাকছেন ৪০ জন অফিসার ও কর্মী।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৩৪৪টি ব্লকে মোট ২০ হাজার ক্যাম্প করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছিল। প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতে পৌঁছে ক্যাম্প করবেন সরকারি আধিকারিক ও কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেদনের ভিত্তিতে ওই সব ক্যাম্প থেকেই তাঁদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। রোজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ক্যাম্প চলার কথা। জানা গিয়েছে, এই দফায় ১ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পগুলি চলবে। পরের দফায় চলবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় ক্যাম্প বসবে ২ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর শেষ দফায় ১৮ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন-জনসংযোগ বাড়াতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির পাল্টা বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’

Previous articleবেলা গড়াতেই হায়দরাবাদ পুরভোটে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে বিজেপি
Next article‘লাভ জেহাদ’-এর অভিযোগে যোগীর রাজ্যে প্রথম গ্রেফতার কোনও যুবক