সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari), জিতেন্দ্র তিওয়ারি(Jitendra Tiwari), শীলভদ্র দত্ত(Shilbhadra Dutta) তৃণমূল(TMC) ছেড়েছেন। হেভিওয়েট এই সমস্ত নেতার তৃণমূল ত্যাগের পর বঙ্গ রাজনীতিকে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে। এহেন অবস্থার মাঝেই এবার রাজ্যপাল(Governor) জগদীপ ধনকড়ের(Jagdeep Dhankar) সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক করলেন তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। এরপরই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে তবে কি তৃণমূল ছাড়ছেন বৈশালী ডালমিয়া(Baishali Dalmiya)? অবশ্য তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার গলায় বেসুরো কথা শোনা গিয়েছিল আগেই এরপর শুক্রবার রাজ্যপালের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ তাঁর তৃণমূল ত্যাগের জল্পনাকে তীব্র করছে। অবশ্য বৈশালী ঘনিষ্ঠদের তরফে তার তৃণমূল ত্যাগের সম্ভাবনার কথা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে দলত্যাগ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে একেবারেই নারাজ বৈশালী। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আর সেই সূত্রে আমি রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। এটা নিতান্তই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ।’ প্রসঙ্গত, বালি বিধানসভা কেন্দ্রে কাজ করতে পারছেন না বলে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয়র কাছে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন বৈশালী। যদিও তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। সম্প্রতি তাঁর আত্মসহায়ককে বেশ কয়েকজন মারধর করে বলেও অভিযোগ ওঠে। একই সঙ্গে তৃণমূলের বহিরাগত তত্ত্বের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা যায় বৈশালীকে। এসব কিছুর মাঝেই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈশালীর সাক্ষাৎ স্বাভাবিকভাবে জল্পনার আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে।
Baishali Dalmiya @BDalmiya Member of the West Bengal Legislative Assembly representing Bally Assembly Constituency called on today at Raj Bhawan and discussed governance issues @MamataOfficial pic.twitter.com/GMuN9Q39gI
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 18, 2020
আরও পড়ুন:IPS ডেপুটেশন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে, শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার
পাশাপাশি বৈশালী ডালমিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন টুইট করে সে তথ্য প্রকাশ্যে আনেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বৈঠকের একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। তবে কী বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে তা নিয়ে কিছুই জানাননি রাজ্যপাল। একই সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বৈশালীও। তবে ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কেন্দ্রে চূড়ান্ত অশান্তির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে বৈশালীকে। নিগৃহীত হতে হচ্ছে বারবার। এই বিষয়গুলিকে নিয়েই এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। অবশ্য বৈশালী তৃণমূল ছাড়ছেন কিনা সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।