IPS ডেপুটেশন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে, শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার

তিন আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশন পাঠানোর ঘটনায় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে। কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য সরকার। এখন শীর্ষ আদালতের রায়ের ওপরেই নির্ভর করছে তিন আইপিএসের ভবিষ্যৎ।

নবান্নের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ৩ আইপিএস (IPS) অফিসার রাজীব মিশ্র (RAJEEV MISRA), প্রবীণ ত্রিপাঠি (PRAVEEN TRIPATHI)) এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে (BHOLANATH PANDEY) ডেপুটেশনে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। শিরাকোলে জেপি নাড্ডার (JP Nadda)-র কনভয়ে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্য করেই বিতর্কের সূত্রপাত। ঘটনার দিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এই তিন অফিসার।

আরও পড়ুন : এবার তিন আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশনে পাঠাল কেন্দ্র

রাজ্যের তরফে চিঠি লিখে কেন্দ্রকে জানানো হয়, ওই তিন আইপিএসকে ছাড়া হবে না। কারণ হিসেবে জানানো হয়, রাজ্যে IPS ও IAS অফিসারের সংখ্যা কম। তাই কেন্দ্র চাইলেও ওই ৩ অফিসারকে রিলিজ করা হবে না। যদিও রাজ্যের আপত্তিকে আমল না দিয়েই নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, আইপিএস (ক্যাডার) আইনের ৬-এর ১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সর্বভারতীয় ক্যাডারের অফিসারদের নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে মতানৈক্য থাকলে কেন্দ্রের ইচ্ছা বা সিদ্ধান্তই অগ্রাধিকার পায়। এক্ষেত্রেও তাই হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এবিষয়ে আপত্তি প্রকাশ করে টুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। লিখেছেন, “নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। এটা রাজ্যে এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ এবং কর্তব্যরত অফিসারদের মনোবল ভেঙে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

আরও পড়ুন : কেন্দ্রের ক্ষমতার আস্ফালন: ৩ আইপিএসের ডেপুটেশন নিয়ে ক্ষোভ মমতার

তিন আইপিএসের মধ্যে রাজীব মিশ্রকে পাঁচ বছরের জন্য পাঠানো হয়েছে আইটিবিপি-তে (ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ)। প্রবীণ ত্রিপাঠিকে তিন বছরের জন্য পাঠানো হয়েছে এসএসবি-তে (সাবসিডিয়ারি ইনটেলিজেন্স ব্যুরো) এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে তিন বছরের জন্য পাঠানো হয়েছে বিপিআরডি-তে (ব্যুরো অব পুলিশ রিসার্চ)। তিনটি নিয়োগই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। এই তিনজনের আজ থেকেই কাজে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও, নবান্নের তরফে অনুমতি না মেলায়, দিল্লি যেতে পারেননি তাঁরা। অবশেষে সমস্যা সমাধানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বাস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আইপিএস ডেপুটেশনের জল, শেষপর্যন্ত কোথায় গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।

Previous articleদুদিনের সফরে রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
Next articleরাজ্যপালের সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাৎ বৈশালীর, বাড়ছে তৃণমূল ত্যাগের জল্পনা