সরকার বৈষম্য ছাড়াই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : Aligarh Muslim University-র শতবর্ষে মোদি

এই প্রথম আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাড়ে পাঁচ দশক আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। মঙ্গলবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মজবুত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে এএমইউ-র।

AMU-এর ভাষণে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি (Prime Minister Narebdra Modi) বললেন, “ভারতের শক্তি, সৌন্দর্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রদের কাছে তুলে ধরাটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য। নিজেদের সম্মান বাড়ানো এবং দেশের প্রতি নিজেদের কর্তব্য পালন। দেশের সমৃদ্ধির জন্য সব স্তরে উন্নতি হওয়া জরুরি। প্রত্যেক নাগরিকের বিভেদ ভুলে দেশের উন্নতিতে ভাগীদার হওয়া উচিত। দেশ এমন একটা রাস্তায় এগোচ্ছে, যেখানে সব নাগরিক নিজের সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে নিশ্চিন্ত। আজ শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও নাগরিককে বঞ্চিত করা হয় না। এটাই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ মতবাদের ভিত্তি।”

আরও পড়ুন-১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে ফের কলকাতায় শাহ! হাওড়ায় করতে পারেন সভা

এ দিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘গত ১০০ বছরে ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের সম্পর্ক মজবুত করার পিছনেও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এখানে উর্দু, আরবিক ও পারসিক ভাষায় ইসলামিক সাহিত্যের উপরে যে সমস্ত গবেষণা হয়েছে, তাতে সমগ্র ইসলামিক বিশ্বে সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক ঘনিষ্ঠতার বিকাশ ঘটিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার গরিবদের জন্য যে প্রকল্পগুলি গ্রহণ করছে সেগুলি ধর্মের ভিত্তিতে দেওয়া হয় না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি সব ধর্মের মানুষ পেয়েছেন। উজ্বলা যোজনার গ্যাস সব ধর্মের মানুষ পেয়েছেন। করোনার সময় সরকারের দেওয়া খাদ্যশস্য সব ধর্মের মানুষ পেয়েছেন।

আরও পড়ুন-গণনা ভুল হলে কাজ ছাড়ার ঘোষণা, বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ পিকের

মোদির দাবি, “মুসলিম মহিলাদের শিক্ষার জন্য বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। গত ৬ বছরে ১ কোটি মুসলিম মহিলাকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলছেন, “স্বচ্ছ ভারত যোজনার আওতায় সব স্কুল-কলেজে নতুন টয়লেট তৈরি হওয়ায় মুসলিম মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে।”

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে তিন তালাক প্রথার কথাও উঠে আসে। মোদির দাবি, ১০০ বছর আগে Aligarh Muslim University-র হাত ধরে যে আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল, তিন তালাক প্রথা বাতিল করে এই সরকার সেই সংকল্পকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন-নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী : উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের

এ দিন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী স্মারক ডাকটিকিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Previous article১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে ফের কলকাতায় শাহ! হাওড়ায় করতে পারেন সভা
Next articleনেতাজি-বিবেকানন্দ-রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে বিজেপি, অভিযোগ সৌগতর