কৃষকবিরোধী সরকারের অতিথি হয়ে আসবেন না, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা প্রতিবাদীদের

মোদি সরকার কৃষকবিরোধী কালা আইন লাগু করেছে। এর প্রতিবাদে ভারতের কৃষকরা গত ২৭ দিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ করলেও তাতে কর্ণপাত করছে না সরকার। এভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে (British prime minister Boris Johnson) বার্তা পাঠালেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকরা (farmers)। বরিসকে তাঁদের আর্জি, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে (republic day) ভারত সরকারের অতিথি হওয়া থেকে বিরত থাকুন। আন্তর্জাতিক মহলে কৃষি আইনের বিরোধিতায় চাপ তৈরি করতেই আন্দোলনকারীরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার ২৭ দিনে পার করল দিল্লি সীমান্তের নজিরবিহীন কৃষক বিক্ষোভ (farm protest)। কেন্দ্রের আনা তিনটি কৃষি আইনের (farm law) বিরোধিতায় এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। ট্রাক্টরে প্রায় ছমাসের খাবার মজুত করে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় চল্লিশটি কৃষক সংগঠনের মঞ্চ থেকে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের দাবি, কর্পোরেট সংস্থাগুলির স্বার্থে আনা আইন সংসদের অধিবেশন ডেকে পুরোপুরি বাতিল (repeal) করতে হবে। শুধু সংশোধনী (amendment) আনলে চলবে না। আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অনশন, বিক্ষোভ, অবরোধ চলতেই থাকবে।

আরও পড়ুন- বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না: হালকা মেজাজেও কড়া বার্তা মমতার

প্রসঙ্গত, তিনটি কৃষি আইন নিয়ে কয়েল দফায় কৃষক ও কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনা হলেও সমাধানসূত্র অধরা থেকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা আন্দোলন আরও তীব্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং নানা আঙ্গিকে প্রতিবাদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের আঁচ যাতে আন্তর্জাতিক মহলে ছড়িয়ে পড়ে এবং সরকারের উপর চাপ বাড়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছয়, সেই কারণে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ভারতে আসা থেকে বিরত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবি ব্রিটিশ সাংসদদের মাধ্যমে বরিসকে বার্তা পাঠাতে চান আন্দোলনকারী কৃষকরা। প্রতিবাদী কৃষকদের এই পদক্ষেপ রীতিমত বেনজির।

আরও পড়ুন- সিবিআই চত্বরে কুণাল: আমি বাঘছাল পরা বেড়াল নই

Previous articleসিবিআই চত্বরে কুণাল: আমি বাঘছাল পরা বেড়াল নই
Next articleমুকুলের বাড়িতে শুভেন্দু, সৌজন্য সাক্ষাৎ না রণকৌশল?