‘বিজেপি-যোগ জানা ছিল বলেই দায়িত্ব কমানো হয় শুভেন্দুর’, মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

“রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা ভাল। কিন্তু নিজের ওজন সম্পর্কে ভুল ধারনা থাকা উচিত নয়।”

সদ্য তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকে (suvendu adhikary) নিয়ে এই প্রথম এভাবেই মুখ খুললেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prasant kishore)৷ দলত্যাগের আগে শুভেন্দুর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছিলেন পিকে। কিন্তু তাঁর বিজেপি যোগদান ঠেকানো যায়নি৷ গত ১৯ তারিখ অমিত শাহের হাত থেকে পদ্ম পতাকা নিয়েছেন শুভেন্দু ৷ তারপর বুধবারই প্রথম শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে খোলাখুলি অনেক কথা বলেছেন প্রশান্ত কিশোর বা পিকে। সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেল ‘Times Now’-এর সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “ওঁর (শুভেন্দুর) অবশ্যই রাজনৈতিক উচ্চতা রয়েছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা ভাল। কিন্তু নিজের ওজন সম্পর্কে ভুল ধারনা থাকা উচিত নয়। উচ্চাকাঙ্ক্ষায় চালিত হয়ে কেউ মনে করতে পারে, দলের সাময়িক ক্ষতিতে তার বৃহত্তর ভাল হতে পারে। কিন্তু তা হয় না।”

আরও পড়ুন : সোশ্যাল মিডিয়ায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির পোস্ট নিয়ে নতুন জল্পনা

সাক্ষাতকারে এরপরেই পিকে মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দুর বক্তৃতার অংশ উল্লেখ করেন। পিকে বলেন, “উনি নিজেই বলেছেন যে ২০১৪ সাল থেকে তিনি অমিত শাহর(Amit Shah) সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। এখন কেউ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় নিজেকে রাখেন, তা হলে কি মনে হবে না যে তাঁকে ঠকানো হয়েছে!” প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, “এটা ঠিকই যে শুভেন্দু দলের যুব সভাপতি পদে ছিলেন। এটাও ঠিক, সেই পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছে। কিন্তু তার পর তো শুভেন্দুকে দলের অনেক বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেটা বলা হচ্ছে না কেন ?”

এরপরই ওই সাক্ষাতকারে প্রশান্ত কিশোরকে প্রশ্ন করা হয়, ‘তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি জানতেন না, শুভেন্দু অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তা হলে আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি কেন মমতা ?
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই প্রশ্নের জবাবে পিকে বলেছেন, “আমরা অবশ্যই জানতাম। সেই কারণেই শুভেন্দুর সাংগঠনিক দায়িত্ব কমানো হয়েছিল। দায়িত্ব হ্রাস করানোর ওই সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিলো, তা প্রমাণিত হয়েছে।”

আরও পড়ুন : অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান শুভেন্দুর, সঙ্গে আর কারা দেখে নিন

প্রশান্ত কিশোরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেছেন, “শুভেন্দু তখন লোকসভার সাংসদ ছিলেন। অন্য দলের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা অন্যায় নাকি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো নিয়মিত বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সে সব কথা এখন বললে কি ভাল লাগবে? কবে কোথায় কী কী কারণে তা তো আমারও জানা আছে।”

Previous articleসোশ্যাল মিডিয়ায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির পোস্ট নিয়ে নতুন জল্পনা
Next articleঅল্পের জন্য রক্ষা, কলকাতা বিমানবন্দরের জরুরি অবতরণ প্রধান বিচারপতির বিমানের