ফিরে দেখা ২০২০: (রাজ্য)

এবছর ভালো-মন্দে মিশিয়ে কেটে গেলো। তবে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেটা নিয়ে নাজেহাল ছিল রাজ্যবাসী, তা হল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তবু বছর শেষের দিকে সেই সংক্রমণ সামলে নিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে রাজ্যবাসী। এরই মধ্যে  ঘটে গিয়েছে নানান রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। আসুন দেখে নিই তারই এক ঝলক ।

২২ শে মার্চ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা করলেন জনতা কার্ফু। সকাল ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত সমস্ত দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়ে গিয়েছিল জনতা কার্ফু।

১৯ মে, ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। শুধুমাত্র গাছপালা নয়, সঙ্গে ঘরবাড়িও ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন অনেকে। নবান্নে বসেছিল ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দিনরাত তদারকি করছিলেন।

দু’ মাসেরও বেশি সময় করোনার জন্য লকডাউন চলার পর ১ জুন থেকে শুরু হয় আনলক ফেজ -১

২৫ শে জুন, বউবাজার পেরোলো উর্বী। পশ্চিম মুখে শিয়ালদহে মেট্রো সুড়ঙ্গের আটকে পড়াদের হাত থেকে সকলকে বাঁচিয়ে দিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে সাহায্য করেছিল উর্বী।

৩১ অগস্ট, দেশের রাষ্ট্রপতি তথা বাঙালির গর্ব বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রণব মুখোপাধ্যায় আমাদের ছেড়ে চলে যান।

লকডাউনের জন্য বন্ধ থাকা মেট্রো পরিষেবা ফের চালু হয় ৮ সেপ্টেম্বর থেকে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমজনতা ।

সেপ্টেম্বর ৯ এবং ১০ তারিখ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বসেছিল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন।
নজিরবিহীন সর্তকতা হিসেবে বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও সাধারণ কর্মীদের করোনা টেস্ট করার পরে অধিবেশন কক্ষে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়।

২৭ সেপ্টেম্বর , বিশ্বের প্রথম ১০০টি বিজ্ঞাননগরীর তালিকায় স্থান পায়
কলকাতার নাম।

8 অক্টোবর,  বিজেপির নবান্ন অভিযানকে সামলে দেয় শাসক দল।

এবারই প্রথম ২২ অক্টোবর রাজ্যে দুর্গাপুজো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এবারই প্রথম করোনার কারণে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ,এমনকি বড়দিনে নানান নিয়ম বিধি এবং আদালতের নির্দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় উৎসব উপভোগ করতে পারেননি আমজনতা। যা বেনজির।

নভেম্বরের শুরু থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি । একদিকে যখন বিজেপির টার্গেট বাংলা, তখন শাসকদলের কাছে চ্যালেঞ্জ ফের সরকার গড়ার।

করোনার কারণে ১৬ ই নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এবার আর ভাইফোঁটা পেলেন না বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়।

৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে ডাকা বনধের সমর্থনে মিছিলে পা মেলান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী সহ বাম নেতারা

বঙ্গ রাজনীতির বড় চমক দেখা যায় ১৯ ডিসেম্বর । বিজেপিতে যোগদান করেন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে এখনও সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

২১ ডিসেম্বর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন বিজেপি বিধায়ক সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ। রাজ্য রাজনীতিতে এই বড় চমক নিয়ে ফের শুরু জলঘোলা।

নানান জল্পনার মধ্যে ২৭ ডিসেম্বর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দেখা করলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়ের এর সঙ্গে। দীর্ঘ দুঘন্টার বৈঠকে উস্কে দিলেন তার রাজনীতিতে যোগদান করা নিয়ে জল্পনাকে।

 

Previous article‘তেজস্বী মুখ্যমন্ত্রী হোক, আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করব’, নীতীশকে RJD-র প্রস্তাব
Next articleরাজ্যপালের অপসারণের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি তৃণমূল সংসদীয় দলের