শ্রদ্ধা: শাশুড়ির শোকে মন্দির তৈরি ১১ জন পুত্রবধূর

বিয়ের পর শাশুড়ি (Mother in law) ও পুত্রবধূ (Daughter in law) মধ্যে মা মেয়ের মতো সম্পর্ক অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ হিসেবেই থেকে যায়। বাস্তবে হয় ঠিক উল্টো শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের শিকার হন বধূ, যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত থাকে শাশুড়ির। বৃদ্ধ শাশুড়িকে ছেলের বউয়ের হাতে মার খেতে হচ্ছে এমন ঘটনা বিরল নয়। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিরল খবরের হদিশ পাওয়া গেল। ১১ জন পুত্রবধূ মিলে শাশুড়ির নামে মন্দির (Temple) তৈরি করলেন। পাশাপাশি তৈরি করেছেন মূর্তি। বিলাসপুরে (Bilaspur) এমন ঘটনাই ঘটেছে।

সেখানে নিত্য পূজাও হয়। মাসে একবার সকলে একত্রিত হয়ে ভজন-কীর্তনও করেন। বিলাসপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বিলাসপুর কোরবা মার্গে রতনপুর (Ratanpur) গ্রাম। সেখানেই ২০১০ সালে মহামায়া দেবীর মন্দির নির্মাণ হয়েছিল। মন্দিরটি গীতাদেবী (Gita devi) নামে এক মহিলার। গীতাদেবী ২০১০ সালে মারা যান। তখন তাঁর ১১ জন পুত্রবধূ এই মন্দিরটি তৈরি করেন। মন্দিরে গীতা দেবীর মূর্তিটি সোনার গয়নায় মোড়া।

রতনপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিবপ্রসাদ তাম্বোলির ( Shivaprasad tambali) যৌথ পরিবারের বাস। তাঁর পরিবারে প্রায় ৩৯ সদস্য। ২০১০ সালে তাঁর স্ত্রী গীতাদেবী মারা যান। তারপরেই ছেলের বউরা এই মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের কেউ এখনও গীতাদেবীর শোক ভুলতে পারেননি। শোনা যায়, নিজের মেয়েদের মতো বৌমাদের ভালোবাসতেন গীতা। সেই কারণেই তাঁর স্মৃতিতেই মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-রামমন্দির তৈরির চাঁদা তোলা নিয়ে অশান্তি কচ্ছে, ধৃত কমপক্ষে ৪০

Advt

Previous articleহাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, তাও রোগী ফেরাল ডানকুনির নার্সিংহোম
Next articleঅজিদের বিরুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ের আসল ‘কারিগর’ দ্রাবিড়, বলছে ক্রিকেট বিশ্ব