শহরের পথে ‘কলকাতা বইমেলা ২০২১’-এর অভিনব নজরকাড়া প্রচার

বই আর বাঙালি যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ । তার সংস্কৃতি-কৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বইয়ের গন্ধ । মহামারির আবহে এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা বন্ধ রাখা হয়েছে ঠিকই । তা বলে শীতের আমেজ গায়ে মেখে বাঙালি বই বিমুখ থাকবে তা কখনও হয় নাকি? তাই ছোটো আকারে হলেও এগিয়ে এসেছেন
কিছু প্রকাশক।
আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা। শুরু হতে চলেছে ‘পশ্চিমবঙ্গ প্রকাশক সমন্বয় কমিটি’ আয়োজিত, বর্ণপরিচয় নিবেদিত ও নেক্সটজেন মিডিয়ার সহযোগিতায় ‘কলকাতা বইমেলা ২০২১’। আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এই ‘কলকাতা বইমেলা’। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ।
সময়: দুপুর দুটো থেকে রাত ন’টা।
স্থান : আমহার্স্ট স্ট্রিট
হৃষিকেশ পার্ক ।
মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সেই বইমেলার অভিনব প্রচার পর্ব শুরু হল। যে প্রচার পর্বে জাঁকজমকের আতিশয্যের থেকেও অনেক বেশি ছিল আন্তরিকতা। হাজির ছিলেন মন্ত্রী তাপস রায়, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন, প্রকাশক রূপা মজুমদার, শঙ্কর মণ্ডল, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা সাংবাদিক কুণাল ঘোষ , চিকিৎসক শিল্পী অশোক রায় প্রমুখ বিশিষ্টরা।
প্রত্যেকেই এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন । তাপস রায় বলেন, বাঙালির জীবনের সঙ্গে বই জড়িয়ে আছে । এই উদ্যোগ তা ফের প্রমাণ করে দিল। দেব সাহিত্য কুটিরের কর্ণধার রূপা মজুমদার বলেন, ছোট আকারে হলেও এই বইমেলায় আন্তরিকতার কোনও অভাব নেই। এমনকি প্রকাশকদের বইয়ের স্টল দেওয়ার জন্য কোনও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে না। চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, যেভাবে উদ্যোগী হয়ে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় । সাংবাদিক কুণাল ঘোষ বলেন, কলকাতার এই বইমেলায় বই কিনলেই মিলবে ২৫শতাংশ ছাড়। এটা যে কোনও বইপ্রেমীর কাছে বড় পাওয়া ।
এদিন একটি ট্রামের কামরা সুসজ্জিত করে ধর্মতলা ট্রাম ডিপো থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত প্রচারে অংশ নেয়। পুরো পথ পরিক্রমায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন চিকিৎসক অশোক রায় । সবমিলিয়ে শহরের পথে এই বইমেলার প্রচার অভিযানের অভিনবত্ব সবার নজর কাড়ে ।তাই দ্বিধাহীন ভাবে আসুন শহরের বুকে এই বইমেলায়, সংগ্রহ করুন আপনার প্রিয় বইটি।

Previous articleলাল-হলুদে সই করলেন সুব্রত পাল
Next articleকার্যত ফাঁকা শোভন-বৈশাখীর পদযাত্রা, ডিজে-র তালে উদ্দাম নৃত্য বিজেপি কর্মীদের